4:00 pm , July 5, 2023
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দক্ষিনাঞ্চলের প্রায় সকল নদীর পানি বেড়েছে। এর মধ্যে আটটি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরও কয়েকটি বিপদসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
দপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম জানান, পূর্ণিমা ও উজানের পানির চাপে ৮টি নদীর পানি বেড়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত বন্যার কোন প্রভাব নেই। নদ-নদীর যে পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে তা মৌসুমের স্বাভাবিক পরিস্থিতি। এই অঞ্চলের নদীর গভীরতা ও প্রস্থ বড় হওয়ায় পানি ধারণক্ষমতা বেশি। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার ধর্মগঞ্জ নদীর বিপদসীমা ২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার মাত্রা অতিক্রম করে দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিশখালী নদীর বিপদসীমা ১ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার মাত্রা অতিক্রম করে দশমিক ০৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পাথরঘাটা উপজেলার বিশখালী নদীর বিপদসীমা ১ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার মাত্রা অতিক্রম করে বিপদসীমার দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভোলার দৌলতখান উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর বিপদসীমা ২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার মাত্রা অতিক্রম করে দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর বিপদসীমা ২ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার মাত্রা অতিক্রম করে দশমিক ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর বিপদসীমা ১ দশমিক ৯১ সেন্টিমিটার মাত্রা অতিক্রম করে দশমিক ০৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উমেদপুর কচা নদীর বিপদসীমা ১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার মাত্রা অতিক্রম করে দশমিক ০৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ও পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদীর বিপদসীমা ১ দশমিক ৪৯ সেন্টিমিটার মাত্রা অতিক্রম করে দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বরিশালের কীর্তনখোলা, বাকেরগঞ্জের বুড়িশ্বর, উজিরপুর স্বরূপকাঠি, গৌরনদী টরকি, বাবুগঞ্জ, ঝালকাঠির বিশখালী, কাইটপাড়া লোহালিয়া, মির্জাগঞ্জের পায়রা, পিরোজপুর স্বরূপকাঠি, বরগুনার বিশখালী ও আমতলীর বুড়িশ্বর নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি ও নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ মোট ১৯টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। আজ বুধবারের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ৮টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বিভাগের নি¤œাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেলেও তা ভাটায় আবার নেমে যাবে।