3:48 pm , July 4, 2023
ঝালকাঠি প্রতিবেদক ॥ ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে জ্বালানী তেল বহনকারী ট্যাংকার সাগর নন্দিনী-২ জাহাজে দ্বিতীয় বিস্ফোরণের ঘটনায় রাতভর জ্বলছিলো আগুন। কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী ৪ লাখ লিটার পেট্রোল ছিলো জাহাজটিতে। সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আগুন লাগে জাহাজটিতে। রাত ৯টায় বরিশাল নৌ ফায়ার সার্ভিসের “অগ্নি যোদ্ধা” নামক একটি জাহাজ এসে ফোম ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। তাদের সহযোগিতা করেছে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। তাদের কাছে থাকা ফোম শেষ হওয়ায় তারাও রাত ১২টার দিকে আগুন নেভানোর কাজ স্থগিত করে দেয়।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বরিশাল বিভাগের ফায়ার সার্ভিসের আগুন নিয়ন্ত্রণের সব ফোম শেষ হওয়ায় খুলনা থেকে পাঠানো ১০৫ কন্টিনার ফোম রাত ৩ টায় ঝালকাঠি এসে পৌঁছায়। ১০ ঘন্টা জ্বলার পর ভোর ৫ টা নাগাদ জাহাজটির আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।
সকাল ৯ টায় ঝালকাঠি মিনিপার্কে প্রেস বিফিং করে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেনেজ) লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পর্যাপ্ত ফোম না থাকায় নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে। তবে বিষ্ফোরিত জাহাজটির সাথেই নোঙর করে রাখা সাগর নন্দিনি-৪ নামক আরেকটি জাহাজকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি।
বরিশাল নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার মো. কফিল উদ্দিন বলেন, ‘বার বার এধরনের নৌ দুর্ঘটনা ঘটায় জাহাজ মালিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ নৌ পুলিশের রয়েছে।’
উল্লেখ্য, ১ জুন শনিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পদ্মা অয়েল কোম্পানির জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার ‘ওটি সাগর নন্দিনী-২’ বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনায় জাহাজের পেছনের তিনতলা বিশিষ্ট চালকের কক্ষ ও কেবিনের অংশ উড়ে গিয়ে পানিতে নিমজ্জিত হয়। এতে চারজন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়। একদিন পর নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ।