3:45 pm , July 4, 2023
প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছে নারী
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রসূতিকে চিকিৎসা না দিয়ে সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডেলিভারে কক্ষে তালা দিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীর বিরুদ্ধে। উপায়ন্তর না পেয়ে প্রসূতি মুনিয়া আক্তারকে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মীর বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের।
সোমবার দুপুরে ভুক্তভোগির লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, নলচিড়া গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী মুনিয়া আক্তারের প্রসব বেদনা শুরু হলে নিরাপদ ভাবে বাচ্চা প্রসবের জন্য রোববার ভোরে পার্শ্ববর্তী নলচিড়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডেলিভারি কক্ষে তালা থাকায় সেখানের মিডওয়াইফ নুপুরকে বিষয়টি অবগত করা হয়। এসময় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আট ঘন্টা অপেক্ষা করার পরও ডেলিভারি কক্ষের তালা খুলে দেয়নি ওই কেন্দ্রের পরিবার পরিকল্পনা কর্মী লাইজু আক্তার। পরবর্তীতে অবস্থা বেগতিক হওয়ায় কেন্দ্রের মিডওয়াইফ নুপুর আক্তারের সহায়তায় আমাকে (মুনিয়া) উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
এ বিষয়ে নলচিড়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিডওয়াইফ নুপুর আক্তার বলেন, ডেলিভারি কক্ষের চাবি আমার কাছেই ছিলো। সম্প্রতি ডেলিভারি কক্ষে আরেকটি তালা মেরে রাখে এফডব্লিউভি কর্মী লাইজু আক্তার। রোববার ভোরে একজন প্রসূতি নারী প্রসব বেদনা নিয়ে কেন্দ্রে আসেন। এসময় লাইজু আক্তার ডেলিভারি কক্ষের তালা খুলে না দেওয়ায় ওই নারীকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এফডব্লিউভি কর্মীর স্বেচ্ছাচারিতা ও দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুজ্জামান জানান, বিষয়টি জানার পর ডেলিভারি কক্ষের তালা খুলে দেওয়ার জন্য এফডব্লিউভি কর্মীকে নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু সে তালা খুলে দেয়নি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এবিষয়ে অভিযুক্ত এফডব্লিউভি কর্মী লাইজু আক্তার ডেলিভারি কক্ষে তালা মেরে রাখার বিষয়টি স্বীকার বলেন, আমি একটি ট্রেনিংয়ে ঢাকায় ছিলাম। অফিসে এসে দেখি ডেলিভারি রুমের দরজা জানালা খোলা। বিষয়টি মিডওয়াইফ নুপুরকে জিজ্ঞাসা করাতে সে মিথ্যে দায় আমার উপর চাপিয়ে দেয়। এজন্য তালা দিয়ে রাখা হয়েছিলো। পরবর্তীতে তালা খুলে দেওয়া হয়েছে।