4:08 pm , July 3, 2023
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঈদ উদযাপন শেষে ঢাকায় ছুটছে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ। ঈদের পর রোববার সরকারী অফিস খুললেও আজ মঙ্গলবার বেসরকারী অফিসগুলো খুলবে। যে কারনে বরিশালসহ দক্ষিনাঞ্চল থেকে ঢাকামুখী মানুষের ¯্রােত পড়েছে লঞ্চ ও বাস স্টেশনে। এদিকে পদ্মা সেতু চালুর গত বছরের চেয়ে পাল্টে গেছে যাতায়াতের দৃশ্যপট। গত বছরসহ বিগত বছরগুলোতে বরিশাল থেকে লঞ্চে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেশী পরিলক্ষিত হলেও এবার দৃশ্যপট উল্টো। লঞ্চ এড়িয়ে যাত্রী চাপ বেড়েছে বাসে। অল্প সময়ে ঢাকায় পৌছা এবং পাশাপাশি স্বপ্নের পদ্মা দর্শন এই দুই কারনে বাসে যাত্রী বেড়েছে বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের। সোমবার সরেজমিনে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে গিয়ে দেখাগেছে ঢাকাসহ উত্তরাঞ্চলমুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। বাস কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা বলছেন হঠাৎ করে রোববার থেকে যাত্রীদের চাপ বেড়ে গেছে। রোববার নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ৫৮৮ টি ট্রিপ ছেড়ে গেছে। এসব ট্রিপের মধ্যে ঢাকার গাড়ির সংখ্যাই বেশী। সুগন্ধা কাউন্টারের ম্যানেজার আবদুল মতিন বলেন, প্রতিটি ট্রিপে গড়ে ৪০ জন করে যাত্রী বহন করা সম্ভব। সে হিসাবে শুধু বাসেই রোববার বরিশাল ছেড়েছে সাড়ে ২৩ হাজার মানুষ তথা যাত্রী। তিনি আরো বলেন, সোমবার সকালে মাদারীপুরের আম গ্রাম নামক স্থানে একটি সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে। যে কারনে এই রুটের সকল গাড়ি আটকা পড়ে সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। ৩ থেকে ৫ ঘন্টা দেরী হয়েছে ঢাকা থেকে গাড়ি আসতে। যে কারনে বরিশাল থেকে বেশী ট্রিপ ছাড়া সম্ভব হয়নি। বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারন সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন যাত্রী চাপ অনেক বেড়েছে। আশা করছি এ চাপ আরো দুদিন থাকবে। তিনি বলেন আমাদেও বাসের কোন সংকট নেই। এত ট্রিপ দেওয়ার পরই অনেক বাস টার্মিনালে বসে থাকছে।
এদিকে প্রত্যাশিত চাপ না থাকলেও কানায় কানায় পরিপূর্ন যাত্রী নিয়ে সোমবার বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে ৮ টি লঞ্চ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন কম হলেও সোমবার একদিনে এই ৮ লঞ্চে ৪০ হাজার যাত্রী বরিশাল ত্যাগ করেছে। যদিও পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে এই সময়ে ১৩ থেকে ১৫ টি লঞ্চ যাত্রী বহন করে বরিশাল থেকে ঢাকা যাত্রা করতো।