3:49 pm , July 2, 2023
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঈদ-উল আজহার চারদিনের সরকারি ছুটিতে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্ত একজনসহ ৬০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে সর্বাধিক ২০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে ঈদের আগের দিন। ঈদের দিন ডেঙ্গু আক্রান্ত এক রোগীসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্রমতে, ঈদে সরকারি ছুটির প্রথমদিন (২৭ জুন) ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ওইদিন ১৩ জনসহ মোট ৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওইদিন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ১ হাজার ১৬৭ জন রোগীর মধ্যে বিভিন্নরোগে আক্রান্ত ১৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সূত্রে আরও জানা গেছে, ঈদের আগের দিন (২৮ জুন) নয়জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শেবাচিমে ভর্তি হয়। ঈদের বন্ধে ২৮ জুন সর্বাধিক ১ হাজার ২০৫ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওইদিন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত সর্বাধিক ২০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ঈদের দিন (২৯ জুন) ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষন নিয়ে সর্বোচ্চ ২৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ওইদিন সর্বোচ্চ ৩৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওইদিন চিকিৎসাধীন ১ হাজার ৬৫ জন রোগীর মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত একজনসহ ১৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
ঈদের দ্বিতীয় দিন (৩০ জুন) নতুন ভর্তি হওয়া ১০ জনসহ মোট ২৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শেবাচিমে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওইদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১ হাজার ১৬৭ জন রোগীর মধ্যে বিভিন্নরোগে আক্রান্ত ১২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে ঈদের বন্ধের আগের তিনদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী আগের চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, সন্দেহজনক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে বেশি। পরীক্ষা নিরীক্ষায় যাদের ডেঙ্গু লক্ষন পাওয়া যাচ্ছে তাদের বেডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি যাদের ডেঙ্গুর লক্ষন নেই তাদের ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে।
ঈদের চারদিন বন্ধে ডেঙ্গু আক্রান্ত একজনসহ ৬০ জন রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে পরিচালক বলেন, গুরুত্বর রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকেন। ঈদের ছুটিতে হাসপাতালের সকল ওয়ার্ডে রোস্টার (পালাক্রমে) ডিউটি পালন করেছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। কোন ওয়ার্ডে চিকিৎসায় গাফেলতি ছিলোনা। চিকিৎসকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন।