মাংস কাটার লোকের অভাব নগরীতে মাংস কাটার লোকের অভাব নগরীতে - ajkerparibartan.com
মাংস কাটার লোকের অভাব নগরীতে

3:30 pm , June 27, 2023

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ কোরবানির পশু কাটার উপকরণ  ও কাটাকুটির জন্য লোকের চাহিদা বেড়েছে নগরীতে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে কাঠের গোল চাকতি, হোগলা ইত্যাদি বিক্রির ধুম লেগেছে। বৃষ্টি ভেজা পথেও অনেকে গোল চাকতি নিয়ে বসে বেচাকেনা করছেন। হোগলা ১৪০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হলেও তেতুল ও রেন্ট্রি গাছের গোল চাকতি নিয়ে তর্ক দেখা গেছে আমতলার মোড়ের পানির ট্যাংক এলাকায়। রেন্ট্রি গুড়ো ৬০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় ছোটবড় ভেদে। আবার তেতুল গুড়ো  চাকতি ৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। দা-বটি ও চাকু ধার করানোতেই বেশ ভীড় কামারের দোকানে।
অন্যদিকে ঈদুল আজহায় গরু, খাসি বা সমপ্রাণী কোরবানির জন্য কেনার পর তা কাটাকুটি করতে লোকের অভাব। কসাইদের চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে ভাসমান শ্রমিকের কদর। গরুর দামের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কসাইদের রেট। লাখ টাকার গরুতে ১৫% অর্থাৎ পনের হাজার টাকা ও সাথে মাংসের দাবি তাদের। দুজনেই কেটে দেবেন গরু। তবে এলাকা ভেদে ওঠা নামা করে এই দাম। নগরীর ৪ নং ওয়ার্ড মহাবাজ পঞ্চায়েত বাড়ির কায়েস আহম্মেদ জানান, তিনি এলাকার চারজন ছোট ভাইয়ের সাথে চুক্তি করেছেন। তাদের এক হাজার করে চার হাজার টাকা ও মাংস দেবেন। তিনি মোট দুটো গরু কোরবানি উপলক্ষে কিনেছেন। একটি এক লাখ দশ হাজার টাকা অন্যটি এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকায়।
পদ্মাবতী এলাকার আলমগীর হোসেন কোনো কসাই খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানান।  তিনি ভাসমান শ্রমিকদের সাথেও কথা বলেছেন। রোজ হিসেবে ৭০০ টাকার পরিবর্তে এক হাজার টাকা দেয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন বলে জানান। কিন্তু সবাই আগাম বুক হয়ে গেছে। এ রকম সমস্যা নগরীর প্রায় ৪০ ভাগ মানুষের। আবার নগরীতে কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট কোনো কসাইখানাও নেই বলে অভিযোগ করেন নগরবাসীর অনেকে। যদিও নগর চিন্তাবিদদের একজন কাজী মিজানুর রহমান বলেন, নগরীতে একটি কসাইখানা খুব সম্ভব আছে সিটি করপোরেশনের। তবে সেটি ব্যবহার অনুপযোগী করে ফেলে রাখা হয়েছে। এটি থাকলে বা ব্যবহার উপযোগী হলে খুব ভালো হতো।
তিনি বলেন, সিটি মেয়রকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। আগেতো পারিবারিক একটা বন্ধন ছিলো, সাত ভাগে কোরবানি হতো, সবাই হাতে হাতে কাজ করতো। এখন আমরা যত আধুনিক হচ্ছি ততই স্থান ছোট হয়ে গেছে। আগে মাঠে কোরবানি হত, এখন তা রাস্তায় ফেলে কোরবানি হয়। এলাকার মসজিদের ঈমাম ও মুয়াজ্জিনরা এসে জবাই দিয়ে যান। কাটাকুটির জন্য আলাদা লোক ভাড়া করতে হয়। সড়ক নোংরা হয়, দুর্গন্ধ অনেকদিন থাকে। এসব বিষয় নগরীর মেয়রকে দায়িত্ব নিতে হবে। নির্দিষ্ট মসজিদ বা মাঠ থেকেই একটি এলাকার কোরবানির যাবতীয় সহযোগিতা দেয়া সম্ভব। এজন্য পরিকল্পনা প্রয়োজন বলে জানান কাজী মিজানুর রহমান।
এদিকে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাঃ রবিউল ইসলাম বলেন, আপাতত নগরীতে কোনো কসাইখানা নেই। নগরবাসীর কাছে বর্জ্য রাখার জন্য সিটি করপোরেশনের চিহ্নিত বস্তা পাঠানো হয়েছে প্রতিটি ঘরে ঘরে। তারা ওই বস্তায় বর্জ্য সংরক্ষণ করে সড়কের নির্দিষ্ট স্থানে রাখবেন। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ঈদের দিন দুপুর ২ টা থেকে পরিচ্ছন্ন অভিযান শুরু করবে। ৬ ঘণ্টার মধ্যে সব কোরবানি বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে বলে জানান রবিউল।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT