2:45 pm , June 27, 2023
ঈদের দিনেও বরিশাল অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
পরিবর্তন ডেস্ক ॥ আষাঢ়ের স্বাভাবিক বর্ষণে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতাদের দূর্ভোগের শেষ নেই।ফলে ক্রেতা কমে যাওয়ায় হতাশায় বিক্রেতারাও।গতকাল মঙ্গলবার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় দেশের সর্বাধিক বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে খেপুপাড়াতে, ৬৬ মিলিমিটার।এসময়ে বরিশালে বৃষ্টিপাতের পরিমান ৬ মিলি হলেও মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আরো ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে স্বাভাবিক জনজীবন অনেকটাই বিপর্যস্ত। এসময়ে সাগরপাড়ের খেপুপাড়াতেও ২২ মিলি বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষনে বরিশাল মহানগরী ও সন্নিহিত এলাকা ছাড়াও এ অঞ্চলের প্রায় পৌনে ৩শ পশুরহাটে ক্রেতা-বিক্রতা সবারই দূর্ভোগের শেষ নেই।বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো বন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানোর পাশাপাশি পায়রা বন্দরকেও ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার অনেক এলাকাতেই ঈদ পূর্ববর্তি শেষ কোরবানির হাট হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে কোন বিকল্প ছিলনা। ফলে সব দূর্ভোগ মাথায় করেই ক্রেতারা ছুটছেন কোরবানির পশুর হাটে। এমনকি দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও ক্রেতাদের আগ্রহকে পুজি করে অনেক হাটেই গরুর দাম আগের দিনে চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধিও লক্ষ্য করা গেছে।আবহাওয়া বিভাগ থেকে বৃহস্পতিবার ঈদ উল আজহার দিনেও বৃষ্টিপাতের সম্ববনার কথা জানিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে পরবর্তি ৩ দিনই বরিশাল সহ উপক’লভাগে বৃষ্টিপাতের প্রবনতা অব্যাহত থাকার কথা বলা হয়েছে। আবহওয়া বিভাগ থেকে ‘সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত থাকার কথা জানিয়ে বরিশাল অঞ্চলে দমকা হাওয়া সহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি সহ বজ্র বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। সাথে কোন কোন স্থানে মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের আশংকার কথাও বলা হয়েছে।দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সাথে এবার সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাসে কোরবানির পশুর দাম আগের বছরের চেয়ে ২৫-৩৫ ভাগ পর্যন্ত বেশী। ফলে অনেক পরিবারই কোরবানি করার সক্ষমতা হারিয়েছেন।এর সাথে লাগামহীন মূল্যস্ফিতি পরিস্থতিকে আরো সমস্যা সংকুল করে তুলেছে।তবে হাটে কোরবানির পশুর কোন সংকট নেই।ঈদের আগের দিন, বুধবারেও হাটগুলোতে প্রচুর কোরবানীর পশু মিলবে বলে মনে করছেন বেপারীগন। এমনকি বুধবারে বাজার গরুর দাম কিছুটা হলেও হ্রাস পাবার ব্যাপারে আশাবাদী সাধারন ক্রেতাগন।বরিশাল অঞ্চলের ৪০ লক্ষাধিক গাবাদি পশুর বিশাল ভান্ডারের মধ্যে এবার প্রায় সাড়ে ৪ লাখ কোরবানির পশু মজুত রয়েছে বলে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে।অধিদপ্তর থেকে এবার বরিশাল বিভাগে সম্ভাব্য পশু কোরবানির হিসেব ধরা হয়েছে ৪ লাখের সামান্য বেশি।এর পরেও অর্ধ লক্ষাধিক কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। সে নিরিখে দাম বাড়ার কথা না থাকলেও গত এক বছরে পশু খাদ্যের দাম প্রায় ৪০ভাগ বৃদ্ধির সাথে খামার শ্রমিকদের মজুরীও প্রায় ৩০ভাগ বৃদ্ধি পাওয়ায় কোরবানির পশুর মূল্য বৃদ্ধির কোন বিকল্প ছিলনা বলে খামারীদের দাবী। তবে সাধারন মূল্যস্ফিতির সাথে কোবানির পশুর মূল্য বৃদ্ধিতে অনেকের পক্ষেই এবার হাটে যাওয়ই সম্ভব হয়নি।