মেয়েকে বাঁচাতে স্বামী-স্ত্রীর নদীতে ঝাঁপ ১৫ ঘণ্টা পর মরদেহ মিলল বাবার মেয়েকে বাঁচাতে স্বামী-স্ত্রীর নদীতে ঝাঁপ ১৫ ঘণ্টা পর মরদেহ মিলল বাবার - ajkerparibartan.com
মেয়েকে বাঁচাতে স্বামী-স্ত্রীর নদীতে ঝাঁপ ১৫ ঘণ্টা পর মরদেহ মিলল বাবার

4:14 pm , June 25, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর দশমিনায় মেয়েকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ বাবার মরদেহ ১৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে। রোববার সকাল ৯টার দিকে আলীপুর ইউনিয়নের খলিসাখালী গ্রামে আলীপুর নদী থেকে তার ৃভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে দশমিনা ফায়ার সার্ভিস। নিহতের নাম মো. ইমরান (৪০)। সে নগরীর মুন্সী গ্যারেজ এলাকার বাসিন্দা আহসান উল্লাহর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার। পরিবার, পুলিশ, স্থানীয়রা বলছে, গত শুক্রবার স্ত্রী-সন্তানসহ দশমিনার আলীপুর ইউনিয়নের খলিসাখলী গ্রামে তাঁর নানা বাড়িতে বেড়াতে যান ইমরান। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি তাঁর স্ত্রী ও চার বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে নদীর পাড়ে ঘুরতে বের হন। এ সময় অসাবধানতাবশত তাঁদের মেয়ে নদীতে
পড়ে যায়। তাকে উদ্ধারের জন্য স্বামী-স্ত্রী দুজনই নদীতে ঝাঁপ দেন। স্থানীয়রা এ দৃশ্য দেখে ছুটে গিয়ে মা-মেয়েকে উদ্ধার করতে পারলেও নিখোঁজ হন ইমরান। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে জানালে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালায়। কিন্তু ইমরানকে খুঁজে না পেয়ে উদ্ধারকাজ সাময়িক বন্ধ রাখে। রোববার সকাল ৯টার দিকে স্থানীয়রা একটি মরদেহ নদীতে ভাসতে দেখে দশমিনা ফায়ার সার্ভিসে কল দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে দশমিনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার তাহেরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করি। পরে পটুয়াখালী ডুবুরি দল এসে রাত ৯টায় পুনরায় উদ্ধার অভিযান চালায়। রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযানের পর সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। রোববার সকালে এলাকার নদীতে ভাসমান একটি মরদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন আমাদের খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ইমরানের মরদেহ উদ্ধার করি। দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন শনিবার সন্ধ্যায় ইমরান তাঁর মেয়েকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার পর নিখোঁজ হয়। রোববার সকালে নদীতে এলাকার লোকজন মরদেহ ভাসতে দেখে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। পরে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে এই দম্পত্তির ছোট একটি মেয়ে জন্মের এক সপ্তাহের মাথায় মৃত্যু বরন করে। পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যুর কোন কারন জানাতে পারেনি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT