3:55 pm , June 24, 2023

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ বরিশালে তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমবেত ছাত্র যুব ও জনতাকে সাথে নিয়ে শ্লোগান তোলেন ‘দফা এক দাবী এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ’।
শনিবার বিকেল তিনটায় বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে (বেলস পার্ক) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সমন্বয়ে আয়োজিত এই তারুণ্যের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ।
ব্যতিক্রমী এই সমাবেশে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি ছিলো বিপ্লবী গান, কবিতা পাঠ ও ভুক্তভোগী প্রত্যক্ষ নির্যাতনের শিকার মা বোন ও ভাইদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তব্যের প্রথমেই বরিশালের সন্তান হারানো মা ফিরোজা বেগমকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন। কালু আর মিরাজ তার দুই সন্তান ২০০৮ সালে নিখোঁজ হয়। তাদের তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকের লোকেরা। ফখরুল বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় এসেই গুম খুনের রাজনীতি শুরু করেছে। সিলেটের ইলিয়াস আলী শিশু কন্যার বয়স আজ ১১ বছর। কত মায়ের বুক এভাবে খালি করেছে তারা। পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু, গুম করে মৃত্যু, এজন্য দেশ স্বাধীন হয় নাই। তিনি বলেন, এ সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে রাজনীতি করতে বাধা দিচ্ছে। কারণ, সে জানে খালেদা জিয়া মাঠে থাকলে তারা এ দেশে দাঁড়াবার স্থানটুকু পাবে না। মিথ্যা মামলা দিয়ে তারা তারেক রহমানকেও দেশে আসতে দেয়না। কারণ তাকেও ভয় পায় এই সরকার।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, কিছুদিন আগে পত্রিকায় এসেছে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে তাদের কোটি কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী সুইজারল্যান্ড গেলেন, সাথে সাথে সেখানের সুইস ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের সব টাকা উধাও হয়ে গেল।
ফখরুল বলেন, বিদ্যুৎ এর টাকা কোথায় গেল। আপনি আমি সবাই বিদ্যুৎ বিল দেই, তাহলে, এরা আবার নিজেদের বৈধ সরকার দাবী করে। বৈধ সরকার নও তোমরা। সরকারকে অবৈধ উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা নাই। তেল, চিনি, মাংস সবকিছুর দাম দিগুণ তিনগুণ বেড়েছে। মানুষ কিনতে পারেনা কিন্তু ওরা পারে, যাদের চুরির টাকা আছে তাদের ক্রয় ক্ষমতা আছে।
এর আগে প্রধান বক্তা যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু আওয়ামী লীগের বাকশাল গঠনের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে এই সরকার। এই সরকারকে ভোট চোর উল্লেখ করে টুকু শ্লোগান তোলেন-তারেক রহমান আসলে দেশে, আওয়ামী লীগ যাবে ভেসে। তিনি তরুণদের নিয়ে সরকারের পতন ও তারেক রহমান দেশে না ফেরা পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না বলে সবাইকে নিয়ে শপথ করেন।
তারুণ্যের এই সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সহ সাংগঠনিক আকন কুদ্দুসুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ,  দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন।