3:54 pm , June 24, 2023
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সহকর্মীদের দায়িত্ব অবহেলায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক স্টাফ নার্স (ব্রাদার) এর স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। স্ত্রী মার্থা অঞ্জু মন্ডলের (৩৮) মৃতুতে এখন বাকরুদ্ধ ব্রাদার লিটন গোমেজ ও তাদের ১৪ বছর বয়সী একমাত্র পুত্র সন্তান। লিটন গোমেজের স্বজন ও সহকর্মীরা জানান, কর্মের সুবাদে বরগুনার বাসিন্দা লিটন গোমেজ বরিশালে পরিবার নিয়ে থাকেন। তার স্ত্রীর ফুসফুসে সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যার কারনে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে লিটন গোমেজ তার স্ত্রী অঞ্জু মন্ডলকে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। প্রথমে তার স্ত্রীকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা দেয়ার কিছুক্ষন পরে চিকিৎসকরা ভেন্টিলেটরি সাপোর্টের জন্য অঞ্জুকে আইসিইউতে নিয়ে যেতে বলেন। সহকর্মীরা জানান, লিটন এ হাসপাতালে চাকরি করার সুবাদে তিনি জানান ‘আইসিইউতে বেড খালি রয়েছে কিনা তা আগে জানতে হয়, তারপর রোগীকে নিতে হয়। এ কারনে লিটন কাগজ নিয়ে সিসিইউর নীচতলায় থাকা আইসিউতে যান। সেখানে যাওয়ার পর দায়িত্বরত স্টাফ নার্স (সেবিকা) অপু রাণী ও লাভলি আক্তার চিকিৎসক নেই বিধায় রোগীকে ভেন্টিলেটরি সাপোর্টে রাখা যাবেনা বলে জানায়। এরপর লিটন বিষয়টি সিসিইউর চিকিৎসকদের জানালে তারা রোগীকে নতুন ভবনের মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠান। সেখানে রোগীকে নেয়া হলে চিকিৎসকরা সিসিইউর কাগজ বাদ দিয়ে রোগীকে নতুন করে ভর্তির নির্দেশ দেন। এরপর রাত আড়াইটার পরে অঞ্জুকে নতুন করে ভর্তি করিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডের অধীনে পোষ্ট সিসিইউ ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া শুরু হয়। তবে সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না হওয়ায় শনিবার (২৪ জুন) সকালে অঞ্জুর মৃত্যু হয়। সহকর্মীদের অভিযোগ, সিসিইউর সেবিকারা যথেষ্ট প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ। তারা সেখানে ভেন্টিলেটরি সাপোর্টে নিজেরাই রাখতে পারতেন তাহলে হয়তো অঞ্জুকে বাঁচানো যেতো। তারা এ ঘটনার তদন্ত দাবি করছেন, সেইসাথে যাদের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে তাদের বিচার দাবি করেন। এ বিষয়ে সিসিইউর দায়িত্বরত সেবিকারা কোন কথা বলতে না চাইলেও শেবাচিম হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক রওশন আরা বেগম বলেন, রোগীকে আইসিউতে নিয়ে যায়নি। না গিয়ে সেখানে নিজে গিয়েছেন । তখন তিনি বলেননি যে রোগী তার স্ত্রী। তাহলে বিষয়টি হয়তো আলাদা হতো। পরিচয় না দিলে সেই রোগীর চিকিৎসা হবে না বিষয়টি এমন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সব রোগীকে সেবা দেই। তবে যেহেতু আমাদের সহকর্মী সে তাই তার স্ত্রীর বিষয়টি বলতে পারতো। আর লিটন গোমেজ কাজে ফেরার পর আমরা তার সাথে কথা বলবো। সে যদি অভিযোগ করে তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।