4:31 pm , June 23, 2023
এসেছে কয়লা
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আগামী রোববার সকাল থেকে চালু হচ্ছে পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের একটি ইউনিট। শুক্রবার ভোর রাতে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে আসা জাহাজ পায়রা বন্দরের ইনারে এসে পৌছেছে বলে জানিয়েছেন তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের সহকারী ব্যবস্থাপক শাহমনি জিকো। তিনি বলেন, পায়রা বন্দরে ইনারে এ্যাংকর করা এমভি এ্যাথেনা থেকে কয়লা নিয়ে লাইটারেজ জাহাজ বিকেল তিনটায় কেন্দ্রের জেটিতে পৌছেছে। শনিবার রাত অথবা রোববার সকাল থেকে কেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু করা হবে। চালুর পর থেকে কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রীডে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুত সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পরবর্তিতে দ্বিতীয় ইউনিটটি চালু করা হবে।
শাহমনি জিকো আরো বলেন, প্রতিদিন এ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হতো। কেন্দ্রটি পুরোদমে চালাতে প্রতিদিন ১২ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন।
কয়লার অভাবে গত ২৫ মে কেন্দ্রের একটি ইউনিট ও ৫ মে অপর ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়।
সহকারী ব্যবস্থাপক বলেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে ৪১.০২৭ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে এসেছে এমভি এ্যাথেনা। ইন্দোনেশিয়া থেকে ছেড়ে আসার ১০ দিন পর এসে পৌছেছে এ জাহাজটি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী ৯ আগস্ট পর্যন্ত ১৭টি জাহাজের এলসি খোলা হয়।এতে প্রায় ৭ লাখ ৩০ হাজার টন কয়লা আনা যাবে। নতুন করে আরও কয়লা আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মালিকানায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কম্পানি লিমিটেড (এনডাব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সমান ৫০ শতাংশ করে অংশীদারি রয়েছে। বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা করে। ডলার সংকটের কারণে আমদানি করা কয়লার প্রায় ৩৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বকেয়া জমে যাওয়ায় কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইন্দোনেশিয়ার কম্পানি।ওই কম্পানিকে কয়লার দাম পরিশোধ করে সিএমসি।চুক্তি অনুযায়ী সিএমসি কয়লা ক্রয়ের ছয় মাস পর বাংলাদেশ অর্থ পরিশোধ করতে পারে। তবে ছয় মাস পার হয়ে গেলেও ডলার সংকটে বকেয়া পরিশোধ করতে পারেনি পায়রা কর্তৃপক্ষ।বড় অঙ্কের বকেয়া হওয়ায় চীনের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কয়লা ক্রয়ে নতুন করে এলসি খুলতে সিএমসিকে নিষেধাজ্ঞা দেয়।এ কারণে কয়লা আমদানিতে জটিলতায় পড়ে বিসিপিসিএল। সরকার দ্রুততার সঙ্গে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার বিল পরিশোধ করে পুনরায় কয়লা আমদানি শুরু করে।