নেতাদের সাথে হাতেম আলী কলেজ অধ্যক্ষের বাদানুবাদ নেতাদের সাথে হাতেম আলী কলেজ অধ্যক্ষের বাদানুবাদ - ajkerparibartan.com
নেতাদের সাথে হাতেম আলী কলেজ অধ্যক্ষের বাদানুবাদ

3:56 pm , June 22, 2023

লিফলেট বিতরণের অনুমতি চাইতে যাওয়া ছাত্রদল

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আগামী ২৪ জুন তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে লিফলেট বিতরণ করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তবে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরুর পূর্বে অনুমতি চাইতে গেলে কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. মোস্তফা কামালের সাথে বাদানুবাদ হয় ছাত্রদলের নেতাদের সাথে।  অধ্যক্ষের কক্ষে ছাত্রদল নেতাদের সাথে বাদানুবাদের একটি ভিডিওর শুরুতে দেখা যায়- ক্যাম্পাসে মিছিল দেয়ায় বিষয়টি অধ্যক্ষ জানলো না এ বিষয়টি কেমন হলো তা নিয়ে ছাত্রদল নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তোলেন অধ্যাপক মু. মোস্তফা কামাল। এসময় ছাত্রদল নেতারা অধ্যক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, যে তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেই অনুমতির জন্য অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সরাসরি এসেছেন। এরপর অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. মোস্তফা কামালকে কারও সাথে ফোনে কথা বলতে দেখা যায় ওই ভিডিওতে। তারমাঝেই স্থানীয় ছাত্রদল নেতারা কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলকে পরিচয় করিয়ে অধ্যক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকেন-আগামী ২৪ জুন তারুণ্যের সমাবেশ সফল করার জন্য ক্যাম্পাসে লিফলেট বিতরণ করা হবে, এজন্য অনুমতি চাইতে আপনার কাছে এসেছি। এরপর হঠাৎই অধ্যক্ষ ক্ষেপে গিয়ে বলেন, এই বলে কি বেয়াদবের মতো।  আমি কি বলেছি কথা বলবো না, এই বেয়াদব কে। প্রিন্সিপালের রুমে বেয়াদবি করছে কে এই বেয়াদবকে বার কর এসময় অধ্যক্ষ ছাত্রদল নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন,আমি তোমাদের রাইখ্যা কোন পাবলিকের সাথে কথা বলছি, আমি ফোনটা করে কথা বলবো বলছি। তা তোমরা দাঁড়াও অসুবিধা কি এরপর শাওন নামে এক ছাত্রদল নেতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এই শাওন তোমার সাথে আমার পরিচয় আছেনা, সম্পর্ক আছে না, তুমি আমাকে মাঝে মাঝে ফোন দেওনা, তো আজকে একটা ফোন আমাকে দিতে পারলানা। তখন শাওন বলেন, স্যার অনুমতি নেয়ার জন্যই আসছি।  এরপর কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল সবাইকে থামিয়ে অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, আমি আপনার সীমাবদ্ধতা বুঝি, রাজনৈতিক বাস্তবতা আমরা বুঝি, আপনি আমাদের কতটুকু অ্যালাউ করতে পারবেন, পারবেন না সেটাও বুঝি। তখন অধ্যক্ষ বলেন, আমি তোমার সাথে কথাও বলতে পারবো না। এর উত্তরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা বলেন-এজন্য আমি বলেছি স্যারের কাছে আগে যাই, সৌজন্য আলাপটা করে আসি। এরপর আরও কিছু কথা বিনিময়ের পর কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও স্থানীয় ছাত্রদল নেতা শাওনের সাথে কথা  বলতে চান জানিয়ে অধ্যক্ষ বাকি সবাইকে কক্ষের বাহিরে যাওয়ার কথা বলেন।  এর কিছুক্ষন পর অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে বের হয়ে কেন্দ্রীয় ও  স্থানীয় ছাত্রদলের নেতারা স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিন  করে এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে বের হয়ে যান। এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. মোস্তফা কামাল বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতাসহ স্থানীয় কোন নেতাই খারাপ আচরণ করেনি। তবে যে ছেলেটার কথায় আমি রাগ হয়েছি সে তাদের কিনা তাও বলতে পারবো না। হয়তো বাহিরের কেউ হতে পারে।   তাদের আমি বলেছিলাম, যে আগে তাদের আগমনের বিষয়টি জানালে তা সম্পর্কে আমি অবগত থাকতাম। হঠাৎ তাদের আগমনে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেও তো পারতো। এদিকে অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে মহানগর ছাত্রদলের সহ সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক জানান, কলেজ এলাকায় তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে লিফলেট বিতরণের অনুমতি চাইতে যাওয়া হয় অধ্যক্ষের রুমে। এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের সামনে নেতাকর্মীদের ওপর ক্ষিপ্ত হন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT