3:53 pm , June 22, 2023
প্রায় তিন মাস পর নগরীতে ফিরে সাদিক আবদুল্লাহ বললেন
বিএনপি ষড়যন্ত্রের জাল পেতেছে -যুবলীগ চেয়ারম্যান পরশ
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রায় তিন মাস পর বরিশাল নগরীতে ফিরেছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার বিকেলে যুবলীগের চেয়ারম্যান ও তার ফুফাতো ভাই শেখ ফজলে শামস পরশকে সাথে নিয়ে বরিশালে এসেছেন তিনি। সড়ক পথে বরিশাল এসে নগরীর কালিবাড়ি রোডের সেরনিয়াবাত ভবনে নেতা-কর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন তিনি। এ সময় সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন “আপনারা আমার পরিবার, আপনারা সবাই জানেন আমি কিভাবে রাজনীতি করি। আজকে যে আমি প্রায় তিন মাস পরে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পেরেছি। সবার মনে যে আনন্দ, তার থেকে ডাবল আনন্দ আমার মনে”। বরিশাল সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার আগে গত ১ এপ্রিল রাতে বরিশাল থেকে স্ব-পরিবারে ঢাকার উদ্দেশ্যে যান তিনি। এরপর আর আসেননি।
প্রায় তিন মাস পর ফিরে আসা সাদিক আবদুল্লাহ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, যেভাবে আপনারা ছিলেন, সেইভাবে চুপচাপ থাকেন। আমরা তো রাজনীতি করি। আমাদের রাজনীতি করা লাগবে। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি না, আমরা বরিশালবাসীকে ওয়াদা করেছি তাদের শান্তিতে রাখবো।
সাদিক বলেন, আমি বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, সভাপতি (এ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীর) আছেন, আমার বাবার প্রতিনিধি (জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুস) ইউনুস কাকু আছেন, আমরা সবাই মিলে বরিশালবাসীকে যেন শান্তিতে রাখতে পারি এই ওয়াদাবদ্ধ করছি।
পাশে থাকা যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশকে দেখিয়ে বলেন “শ্রদ্ধেয় বড়ভাই। আমার বাবার পরে সে। তিনি আমার সাথে আসছেন। এটা আমার কাছে বড় পাওয়া।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, বরিশাল একটি রাজনৈতিকভাবে উর্বর ও এতিহ্যবাহী একটি মাটি। এই মাটিতেই আমার জন্ম। সেই জন্যই আমি আপনাদের অতি কাছের মনে করি।
একটি পরিবর্তনশীল সময়ে আপনারা নৌকার প্রতি অনুভুতি দেখিয়েছেন আমি নিশ্চিত জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আনন্দিত করেছে ও তাকে গর্বিত করেছে। এভাবে যদি জননেত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক হিসেবে নৌকার হাল ধরি, ধরা অব্যাহত রাখি, তাহলে ইনশাআল্লাহ যে কোন ধরনের সংকট মোকাবেলা করতে পারবো।
পরশ বলেন, বিএনপি জামায়াত তাদের তারুন্যের সমাবেশের নামে একটা সমাবেশ করতে যাচ্ছে। এর আগেও তারা বরিশালে একটা বিভাগীয় সমাবেশ করে গেছে। গত কয়েকমাস আগে।
যাই হোক আমরাও বাংলাদেশ যুবলীগ সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্ন জেলায় শান্তি সমাবেশের কর্মসুচী অব্যাহত রেখেছি। আমরা কিছু প্রস্তুতি সভাও করেছি। এ বরিশালের শান্তি সমাবেশটাকে কেন্দ্র করে আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই।
পরশ জানান, শান্তি সমাবেশটাকে সফল করতে যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাযাহার ও যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বদিউল আলম এরা থাকবে। এরা ২৪ তারিখের শান্তি সমাবেশ সফল করবে। আপনারা তাদেরকে সহযোগিতা করবেণ। বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিবেন। তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী মতামত দেবেন।
পরশ বলেন, সাম্প্রতিকালে জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর বিভিন্ন ধরনের হুমকি, বিশেষ করে জীবননাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমরা গায়ে পড়ে কোন ঝগড়া বিবাদ করবো না, তবে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণ নাশের হুমকির বিষয়ে প্রশাসনকে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা কোন নৈরাজ্য মেনে নিবো না। সাধারণ শান্তি প্রিয় জনগনকে আঘাত করবে, মুর্যাল ভাংচুর করছে এগুলো কিন্তু মেনে নেবো না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, সবাই সতর্ক এবং সজাগ থাকবেন, ওরা অনেক বড় ষড়যন্ত্রের জাল পেতেছে বিদেশে থেকে ও সাথে নিয়ে, ওদের ছোট করে ভাবার কিছু নাই।
তিনি বলেন আমাদের একমাত্র শক্তি ঐক্য। আপনারা ঐকবদ্ধ থাকুন সংকট মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে। এই সকল অপশক্তিকে পরাস্ত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবেন আপনারা। ঐতিহাসিকভাবে বরিশালের মাটি রাজনৈতিকভাবে উর্বর, বরিশালের নেতাকর্মীরা এদের মোকাবিলা করতে পারবে।
পরে বিকেল ৫টায় বিমানে ঢাকা ফিরে গেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।