4:36 pm , June 21, 2023
পুলিশ কনস্টেবল স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ যৌতুক ও কুপিয়ে জখমের অভিযোগের পৃথক দুইটি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও নেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া পুলিশ কনষ্টেবল স্বামী ও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্ত্রী। বুধবার শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন স্ত্রী হেপি আক্তার (২৯)। সে বরিশাল নগরীর পশ্চিম কাউনিয়া সোবাহান মিয়ার মৃত আব্দুল করিমের কন্যা।
স্বামী মো. আবুল খায়ের (৩০) মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের আসাদ সরকারের ছেলে। সে বর্তমানে মাদারীপুরের ডাসার থানার কনষ্টেবল।
সংবাদ সম্মেলনে হেপি জানান, ২০১৮ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে তার সাথে খায়েরের পরিচয় হয়। সে কনষ্টেবল হলেও এসআই পরিচয় দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক করে। পুলিশ সদস্য হওয়ায় পরিবার সম্পর্ক মেনে নিতে চায়নি। তাই পরে খায়েরের নিজ এলাকার চরকেওয়ার ইউনিয়নের মুন্সীরহাট সংলগ্ন কাজী অফিসে নিয়ে ২ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করে। পরে খায়েরের বাড়ীতে বাস করে। তখন জানতে পারে খায়ের কনষ্টেবল। এ পদ থেকে এএসআই পদে পদোন্নতি নিতে ৫ লাখ টাকা চায়। হেপি তার পরিবারের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা এনে দেয়। এরপরে আরো ১০ লাখ টাকার জন্য নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে সে অন্ত.সত্তা হয়। তখন তাকে মারধর করে অজ্ঞান করে। জ্ঞান ফেরার পর নিজেকে মুন্সীগঞ্জ হাসপাতালে দেখতে পায়। গর্ভের সন্তানের অস্তিত্ব নেই টের পায়।
হেপির দাবি অধরা নাম দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে তার গর্ভের ভ্রুন হত্যা করেছে স্বামী। ২০২২ সালের মাঝামাঝি তার অগোচরে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও করে কনষ্টেবল খায়ের। সেখানে স্বামীর শরীর দেখা গেলেও তাকে সম্পূর্ন দেখা যায়।
ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয় স্বামী খায়ের ও তার বন্ধু রোমান। স্বেচ্ছায় তালাক দিলে ভিডিও ছেড়ে দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয়।
পরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কাছে বিচার দেয়া হয়। তারা সালিস মীমাংশা করে দেয়। শ্বশুর বাড়ীকে ফিরে গেলে শ্বাশুড়ী তাড়িয়ে দেয়।
হেপি অভিযোগ করেন, গত ৯ মার্চ ঢাকায় গাড়ি নিচে ফেলেও তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে স্বামী খায়েরসহ তার ভাই এনএসআইতে চাকুরি করা জনি সরকার।
পরে মাদারীপুর এএসপি অফিসে অভিযোগ দেন। গত ২৮ মে মাদারীপুর থেকে ফেরার পথে মাদারীপুর খাঞ্জাপুর এলাকা পৌছুলে একটি মোটর সাইকেলযোগে স্বামী খায়েরসহ তিনজন এসে তাকে কুপিয়ে জখম করে। এছাড়াও বেধরকভাবে মারধর করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তাকে কুপিয়ে জখম ও যৌতুকের দাবীতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। মামলার পর স্বামী খায়ের ও বন্ধু রোমান ভিডিও ছেড়ে দেয়া হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন হেপি। তার ধারনা পুলিশ সদস্য হওয়ায় ন্যায় বিচার পাবেন না।
অভিযোগের বিষয়ে কনষ্টেবল আবুল খায়েরের ০১৯৬৩৬৯৬২২৪ নম্বরে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।