4:20 pm , June 19, 2023
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ এই সরকারের অধীনে যে কোন নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করা এবংনির্বাচন সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে হার্ডলাইনে রয়েছে দলটি। সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বা নিয়েছে তাদের দলীয় সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। শুধু পদধারীই নয় এই শাস্তি থেকে রেহাই পায়নি দলের কোন পদে না থাকা নেতা কর্মীরাও। যারা বিগত সময়ে পদে ছিলো তথা যাদের নামের সাথে বিএনপি কোন ধরনের সম্পৃক্ততা ছিলো বা রয়েছে তাদের কেও দল থেকে সাময়িক ও স্থায়ী ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। এবার ভিন্ন মাত্রার শাস্তি প্রদানের একটি নমুনা দেখিয়েছে দলটি। সদ্য সমাপ্ত বরিশাল সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হওয়া আওয়ামীলীগ নেতা শেখ সাঈয়েদ আহমেদ মান্নাকে মিষ্টি মুখ করিয়ে শাস্তির মুখে পড়েছেন মহানগর মহিলা দলের সভাপতি ফারহানা ইয়াসমিন তিথি। কেন্দ্রীয় মহিলা দল থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিথিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। শোকজের বিষয়ে মহানগর মহিলা দলের সভাপতি ফারহানা ইয়াসমিন তিথি বলেন, আমি যে ওয়ার্ডে থাকি সেখানে ক্ষমতাশালীরা খুব প্রভাবশালী। তাদের চাপে বাধ্য হয়ে মিষ্টি খাওয়ানোর অনুষ্ঠানে যেতে হয়েছে। নোটিশের লিখিত জবাব দেবেন বলে জানান তিনি।
সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে বিএনপি হার্ডলাইনে রয়েছে। যেখানে আমরা নির্বাচন বয়কট করেছি সেখানে নির্বাচনের সঙ্গে কেউ যে কোনো ভাবে সম্পৃক্ত হলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যারা আমাদের আওতায় তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি আর যারা আমাদের আওতায় নেই তাদের বিষয়ে কেন্দ্রকে অবহিত করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রমাণাদি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির বহিষ্কৃত ১৯ প্রার্থীর পর নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া এক ডজন নেতাকর্মীর তালিকা করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধেও দল থেকে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাঈদ আহম্মেদ মান্না ২১ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হিসেবে বিজয়ী হলে তাকে মিষ্টিমুখ করান তিথি। এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি সকলের নজরে আসে।