4:16 pm , June 19, 2023
বানারীপাড়া প্রতিবেদক ॥ বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ফজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামী সোহাগ(২৪) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা দায়েরের ৮দিন পরে ১৯ জুন সোমবার ভোর সাড়ে ৬ টায় বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাসুদ আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে বরিশাল লঞ্চ ঘাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পরে সোহাগ এলাকা থেকে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে আত্মগোপন করে। সোমবার ভোরে ঢাকা থেকে সুরভী-৭ লঞ্চে বরিশাল এসে টার্মিনালে নামার সাথে সাথেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোহাগকে বানারীপাড়া থানা থেকে ওইদিন বিকেলে বরিশালে জেলহাজতে পাঠানো হয়। মামলার অপর দুই আসামী মেহেদী (২৭) ও প্রবাসীর স্ত্রী রুবিনা আক্তার ছবিকে (৩৮) গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে বলে ওসি মাসুদ আলম চৌধুরী জানান।
উল্ল্যেখ্য, গত ১১ জুন রবিবার রাতে উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের শাখারিয়া গ্রামের প্রবাসী শহিদুল ইসলাম শহিদের স্ত্রী রুবিনা আকতার ছবি বাসায় একা থাকার অজুহাত দেখিয়ে পাশ^বর্তী দশম শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে তার সঙ্গে ঘুমানোর জন্য অনুরোধ করেন। রাত ১২ টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঘুম থেকে উঠিয়ে পরিকল্পিতভাবে একই গ্রাামের জলিল হাওলাদারের পূত্র সোহাগ (২৩) ও সায়েদ মোল্লার পুত্র মেহেদীর (২৭) এর হাতে তুলে দেয়। এসময় সে ভয়ে ডাক চিৎকার দিতে গেলে তার ওড়না দিয়ে মুখ বেধে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে পাশ্ববর্তী পরিত্যাক্ত একটি বসত ঘরে নিয়ে ওই দুই লম্পট তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ও ভিডিও ধারণ করে।
এ ঘটনায় পরের দিন ১২ জুন সোমবার ভিকটিমের মা বাদী হয়ে একই গ্রামের সোহাগ (২৪), মেহেদী (২৭) ও প্রবাসীর স্ত্রী রুবিনা আক্তার ছবিকে আসামী করে বানারীপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।