3:26 pm , June 16, 2023
জীবনের প্রথম নির্বাচনেই চমক
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সদ্য সমাপ্ত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে আকর্ষনের কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলো ১৫ নং ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে সাধারন কাউন্সিলর পদে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেন এবং বাছাইয়ে সবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করা হয়। তখন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বীতা আর আকর্ষনের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয় নগরীর অন্যতম প্রান কেন্দ্র খ্যাত ওয়ার্ডটি। শুধু ৭ প্রার্থীর অংশ গ্রহন নয়,প্রার্থীদের বেশীর ভাগ হেভিওয়েট, রাজনৈতিক পরিচয় সমৃদ্ধ এবং জুনিয়র সিনিয়রদের সংমিশ্রন সহ নানা কারনে সবার দৃষ্টি ও নজরে ছিলো ওয়ার্ডটি। সবার ধারনা ছিলো প্রতিদ্বন্দ্বীতা মূলক, আকর্ষনীয় ও উপভোগ্য নির্বাচন হবে এই ওয়ার্ডে। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। প্রতিদ্বন্দ্বীতা ও প্রতিযোগীতা না হলেও চমক ছিলো পরিপূর্ন। আর এই চমক দিয়েছেন ওয়ােের্ডর ৭ প্রার্থীর মধ্যে সর্ব কনিষ্ট ও জীবনে প্রথম বারে নির্বাচনে আসা মোঃ সামজিদুল কবির (বাবু)। রাজনৈতিক তেমন কোন পরিচয় নেই তার। নেই বিশেষ ভাবে পরিচিতি পাওয়ার মত অন্য কোন পদ পদবী বা খ্যাতি। এক কথায় অতি সাধারন একজন মানুষ। তথা প্রার্থী ছিলেন সামজিদুল কবির (বাবু)। কিন্তু বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে এই সাধারন ও প্রতিযোগী না ভাবা প্রার্থীর কারনে জামানত হারিয়েছেন ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী। যারা নিজ নিজ নামে ও নানা পদ পদবীতে নগরীতে বেশ পরিচিত। কিন্তু এই ছোট্ট প্রার্থীর কাছে এক ধরনের পাত্তাই পায়নি। ভোটের পরিসংখ্যান বলছে ওয়ার্ডে মোট ৭ হাজার ৮২৬ জন ভোটার রয়েছে। যার মধ্যে ৩ হাজার ৭৪৯ জন ভোটার ভোট দেন। বাতিল হয় ৫ টি ভোট। এই ৩ হাজার ৭৪৯ টি ভোটের কাটা চামচ প্রতীক নিয়ে সামজিদুল কবির (বাবু) পান প্রায় অর্ধেক ১ হাজার ৬৬৭ ভোট। যা বাকি ৫ প্রার্থী মিলেও পাননি। আর অন্য ৫ প্রার্থীর ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ১৩৯ টি। ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে মাহমুদ আলম পান ৯৪৩ ভোট। জীঁবনের প্রথম নির্বাচনে সামজিদুল কবির (বাবু) এর এমন ভোট প্রাপ্তিকে রীতিমত চমক হিসাবে দেখছেন ওয়ার্ডবাসী। তারা বলছেন নিজেকে হারিয়ে না ফেললে বাবুর ভবিষ্যত কতটা উজ্জ্বল তা এখনই অনেকটা স্পষ্ট। তবে নিজ যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার পাশাপাশি বিজয়ের নেপথ্যের কারিগর ও মাস্টার মাইন্ড হিসাবে বাবুর বড় ভাই শিবলুর কারিশমাটিক ও ডিপলোমেটিক ভুমিকার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী প্রদত্ত তথা কাস্টিং ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাতিল করা হয়। সে হিসাবে ১৫ নং ওয়ার্ডে ৫ টি বাতিল ভোট বাদে মোট ভোট কাস্টিং হয় ৩ হাজার ৭৪৪ টি। ৮ ভাগের এক ভাগ হিসাবে এক জন প্রার্থী ৪৬৮ টি ভোট না পেলে জামানত বাতিল হবে।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফল ও নিয়মানুযায়ী, এবারের নির্বাচনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডে ১১৮ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৪৭ জন এবং ৪১ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ১৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সব মিলিয়ে এবার ৬২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী জামানত ফেরত পাচ্ছেন না।