4:28 pm , June 14, 2023
ঝালকাঠি প্রতিবেদক ॥ রাজাপুরে ইভটিজিং এর শিকার হয়ে অভিমানে কেয়া আক্তার (১৫) নামে নবম শ্রেণিতে পড়–য়া এক মাদ্রাসা ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের চল্লিশ কাহনিয়া এলাকায় নিজ বাসা থেকে কেয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কেয়া আক্তার ওই এলাকায় মজিদ খানের মেয়ে এবং স্থানীয় চল্লিশ কাহনিয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। কেয়ার মৃত্যু নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান , মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেয়া আক্তারকে ঘরে রেখে তার মা-বাবা ও বোন বাড়ীর বাইরে কাজে চলে যায়। কেয়ার মা ও ছোট বোন বাড়ীতে ফিরে এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে কেয়াকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে পাটাতনের আড়ার সাথে ঝুলতে দেখে ডাক চিৎকার দেয়।
নিহতের মা নাসিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন , গত দুই দিন আগে আমার মেয়ে উত্তমপুর বাজার থেকে তার মাদ্রাসায় কাজের জন্য ছবি তুলে তার সহপাঠির সাথে চল্লিশ কাহনিয়া নদীর পাড়ের রাস্তা ধরে বাড়ীতে আসছিলো। পথিমধ্যে পাশ্ববর্তী মোল্লা বাড়ীর মিজান মোল্লা আমার মেয়ের হাত ধরে টানাটানি করে এবং ইভটিজিং করে। মিজান মোল্লা একই এলাকার খলিল মোল্লার ছেলে। এর পর থেকেই কেয়ার মানসিক অবস্থা খারাপ ছিলো। ইভটিজিং এর শিকার হয়ে কেয়াকে লোকজনের কথা শুনতে হয়েছে। এমনকি তার বাবাও তাকে গালমন্দ করে। আর এ কারনেই অভিমান করে আমার মেয়ে কেয়া আত্মহত্যা করেছে।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় জানান, কেয়া নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঝালকাঠি মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।