4:28 pm , June 14, 2023
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দুধ,ডিম ও গোশতে উদ্বৃত্ত দক্ষিণাঞ্চলে আসন্ন ঈদ উল আজহাতেও স্থানীয় গবাদী পশুর মাধ্যমেই ৪ লাখ পশু কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে অর্ধ লক্ষ উদ্বৃত্ত থাকছে। গত কয়েক বছরের ঈদ উল আজহায় দক্ষিণাঞ্চলে নিজস্ব পশুর সাহায্যে কোরবানির পরেও প্রায় ৩০-৫০ হাজার পর্যন্ত গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকছে বলে বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানিয়েছে।
সরকারী হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার ৪২টি উপজেলায় প্রায় ৪০ লাখ ৫১ হাজার গবাদি পশুর মধ্যে এবার ঈদ উল আজহায় কোরবানির জন্য প্রায় ২৩ হাজার খামারী ও গৃহস্থের কাছে সাড়ে ৪ লাখ বিভিন্ন ধরনের পশু মজুদ রয়েছে। তবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মতে এবার দক্ষিণাঞ্চলে কোরবানির সম্ভাব্য পশু চাহিদা ৪ লাখের কিছু বেশী। সেই নিরিখে এবারো প্রায় ৪৯ হাজার ৭৫৩টি কোরবানি যোগ্য পশু উদ্বৃত্ত থাকবে বলে অধিপ্তর মনে করছে।
তবে এ হিসেবের বাইরেও দক্ষিণাঞ্চলের গৃহস্থ্য পর্যায়ে গবাদিপশুর যে বিশাল ভান্ডার রয়েছে, সেখান থেকেও পশু কোরবানির সুযোগ রয়েছে। প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীলদের মতে, গৃহস্থ্য পর্যায়ে পালিত গবাদি পশুর মধ্যে কোরবানির জন্য আরো লক্ষাধীক গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে।
এবারো দক্ষিণাঞ্চলে বিপুল সংখ্যক কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত থাকার মধ্যেও কুষ্টিয়াসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে সড়ক পথে আরো পশুর চালান আসবে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন হাটে।
বছর জুড়েই দক্ষিণাঞ্চল থেকে বিপুল সংখ্যক বকনা ও বাছুর কুষ্টিয়া, মেহেরপুর সহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাসমূহে যায় মোটাতাজা করণের জন্য সেসব গরুর একটি বড় অংশই আবার দক্ষিণাঞ্চলের কোরবানির পশুর হাটে ফিরে আসবে এ সময়ে বিক্রীর জন্য।
তবে এবার দক্ষিণাঞ্চলে কোরবানির পশুর দাম গত বছরের চেয়ে কতভাগ বাড়বে তা এখনো বোঝা না গেলেও বাজারে গরু ও খাসির গোশতের দাম গত বছরের এ সময়ের তুলনায় অন্তত ২০ ভাগ বেশী।
অপরদিকে এবারো দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় পৌনে ৩শ কোরবানির পাশুর হাট বসার কথা রয়েছে। বরিশাল সিটি করপোরেশন সহ এ অঞ্চলের বিভিন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে এসব পশুর হাটে স্বাস্থ্য সচেতনতাসহ সুস্থ পশু বিক্রী নিশ্চিত করণে নজরদারী বৃদ্ধির তাগিদ দিয়েছেন প্রাণিসম্পদ চিকিৎসকরা। পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবারো দক্ষিণাঞ্চলের ৪২টি উপজেলায় ‘পশু বেচা কেনা সহ জবাই করার স্বাস্থ্য সম্মত উপায়’ নিয়ে সভা আহবান করছে। পাশাপাশি গোশত প্রক্রিয়াজাত কারীদের প্রশিক্ষনও প্রদান করবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলের পশুর হাটগুলোতে শতাধিক মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে বলেও জানা গেছে।
সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার ৪২ উপজেলায় খামার ও গৃহস্থ্য পর্যায়ে প্রায় ২৬ লাখ ২১ হাজার গাভী, ১০ লাখ ৭০ হাজার ছাগল, ২ লাখ ৮৫ হাজার মহিষ ও ৭৬ হাজার ভেড়া সহ প্রায় ৪০ লাখ গবাদি পশু রয়েছে। এর বাইরে বিপুল সংখ্যক বিভিন্ন ধরনের প্রাণির বিশাল ভান্ডার রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের বেসরকারী খামার সহ গৃহস্থ্য পর্যায়ে।