4:24 pm , June 14, 2023
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় পরাজিত মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপনকে অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে তার কুশপুত্তলিকাদাহ করেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের একটি অংশ। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর সদর রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ করে নেতাকর্মীরা। এতে বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এ সময় বক্তারা বলেন, দলের সঙ্গে বেইমানি করে রুপন নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। দলের নেতাকর্মীদের তাকে চিনে রাখতে হবে। তাকে বরিশাল থেকে বিতাড়িত করা হবে। পরে কামরুল আহসান রুপনের ছবি সংবলিত ব্যানারে অগ্নিসংযোগ করা হয়। বরিশাল দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি সবুজ আকনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুসফিকুল হাসান মামুন, যুবদল নেতা সাকলাইন, জেলা দক্ষিণ ছাত্রদল সহসভাপতি লিয়ন, নজরুল, যোবায়ের, আরিফ সিকদার, হাবিব সিকদার।
বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাইলে রুপন দুপুরে বলেন, “নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করেছে তারাই এখানে আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। এখানে বিএনপির সিনিয়র কোনো নেতা ছিলেন। মাদক ব্যবসায়ী, হত্যার মামলার আসামির নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ হয়েছে।”
বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে রুপন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পর তাকে বিএনপি বহিষ্কার করে; যদিও দলে তার কোনো পদ ছিল না। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়ার সময় ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। নির্বাচনে রুপন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে মাত্র ৭ হাজার ৯৯৯ ভোট পেয়েছেন।
‘নির্বাচনে ডিজিটাল প্রহসন হয়েছে’
এদিকে বেলা সোয়া ১১টায় কামরুল আহসান রুপনের নির্বাচনী মিডিয়া সেল থেকে ফলাফল প্রত্যাখান করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এতে দাবি করা হয়েছে, ভোট চলাকালীন ৩০ ওয়ার্ডের অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সহায়তায় বল প্রয়োগ করে ভোটারদের নৌকা মার্কায় ভোট বাধ্য করেছে। “ভোট গণনার আগে সব কেন্দ্র থেকে আমার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। ইভিএম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে একটি ফলাফল সৃষ্টির করে নৌকা মার্কার প্রার্থীকে বিজয়ী দেখিয়ে যে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে, সেটি ডিজিটাল প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়,” যোগ করেন রুপন।