বাকেরগঞ্জে শালিস বৈঠকে পিতা পুত্রসহ ৬ জনকে কুপিয়ে জখম বাকেরগঞ্জে শালিস বৈঠকে পিতা পুত্রসহ ৬ জনকে কুপিয়ে জখম - ajkerparibartan.com
বাকেরগঞ্জে শালিস বৈঠকে পিতা পুত্রসহ ৬ জনকে কুপিয়ে জখম

4:23 pm , June 14, 2023

এক মালিকের গোয়াল ঘরে অন্য মালিকের গরু প্রবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাকেরগঞ্জে এক মালিকের গোয়াল ঘরে প্রবেশ করেছিলো অন্য মালিকের একটি গরু। সন্ধ্যার দিকে বিষয়টি নজরে আসলে গোয়াল ঘর
মালিকের নাতি ওই গরুটিকে বের করে দেয়। সামান্য এই বিয়য়টি রুপ নেয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে অন্তত ৬ জন কে। আশংকা জনক হওয়ায় বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা ৬ জনকেই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন (রেফার) করেন। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভর্তির একদিন পরই শেবাচিম হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা আহত ৬ জনকে মঙ্গলবার রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন করেছেন। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
তবে একাধিক সুত্র জানিয়েছে গোয়াল ঘরে গরু প্রবেশের বিষয়টিকে ইস্যু হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। মূলত পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই সুযোগ বুঝে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়েছে। রোববার রাতে উপজেলার ১১ নং ভরপাশা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও প্রথম সারির আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। মধ্য সারির ৩ আসামীকে গ্রেফতারই এখন পর্যন্ত সফলতার গল্প। এদিকে ঘটনাা বিচার ও আসামীদের গ্রেফতার দাবী করে বরিশাল র‌্যাব-৮ অধিনায়ক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে আহতদের পক্ষ থেকে।
এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানায় হামলাকারী ১০ জন নামধারী ও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে সোমবার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী মোস্তফা সিকদার বলেন (এজাহারে উল্লেখিত) বিবাদীদের সাথে দীর্ঘ বছর ধরে জমিজমা নিয়ে তাদে সাথে বিরোধ চলে আসছিলো। ১০ জুন সন্ধ্যার দিকে ৭ নং বিবাদী মোনাসেফ সিকদারের একটি গরু আমার গরুর সাথে গোয়ার ঘরে প্রবেশ করিলে আমার নাতী মাসুম সিকদার ওই গরুটিকে বের করে দেয়। কিন্তু মোনাসেফ সিকদার মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে গরুটিকে আঘাত করা হইয়াছে অভিযোগ তুলে আমিসহ পরিবারের সকল সদস্য কে গালমন্দ করে এবং কিল ঘুষি মেরে জখম করে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য রিয়াজসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার প্রার্থনা করলে তারা পরের দিন রাত ৯ টার দিকে আমার বসত বাড়ির উঠানে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠক চলাকালীন সময়ে ১ নং বিবাদী উত্তেজিত হয়ে উঠে সালিশদারদের সামনে একটি বাশের লাঠি নিয়ে আমাকে এলোপাথারী ভাবে পিটাতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে সালিশদাররা কোন সিদ্ধান্ত না দিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করলে বিবাদীরা দা,লোহার রড,লাঠি দিয়ে আমি সহ আমার ৪ ছেলে জামাল সিকদার, শহিদুল সিকদার, সরোয়ার সিকদার,মামুন সিকদার ও পুত্র বধু মুসলিমা খাতুন কে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাতœক জখম করে। পরে আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে আমাদের ৬ জন কে প্রথমে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক অবস্থার অবনতি ঘটায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন (রেফার) করেন। মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসকরা আমাদের ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। বুধবার ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এই ৬ জনকে। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাকেরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক ( এসআই) মোঃ জহির বলেন মামলা দায়েরের পর পরই আমরা এজাহারভুক্ত আসামী রুবেল, হেমায়েত ও হিরন সিকদারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT