4:08 pm , June 9, 2023
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে মারা গেছে এক সন্তানের জননী গৃহবধূ। হাতপা বেঁধে নিজ ঘরে কেরোসিন ঢেলে দেয়া আগুনে গৃহবধূ ৫ মাস বয়সী শিশু পুত্রও দ্বগ্ধ হয়েছে। তবে সে সুস্থ রয়েছে বলে দুমকি থানার ওসি আবুল বাশার জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটার দিকে উপজেলার নতুন বাজার সংলগ্ন শাহজাহান দারোগার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার বিকাল ৪ টার ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাষ্টিক সার্জারী ইনষ্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় গৃহবধূ হালিমা আক্তার মীম (২০)। সে উপজেলার সাতানী গ্রামের মজিবর রহমানের কন্যা ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সামনে একটি দোকানে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকুরি করা জামাল হোসেন প্রিন্স’র স্ত্রী।
দুমকি থানার ওসি আবুল বাশার জানান, মুখোশ পড়া দুই দুর্বৃত্ত বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটা ১৫ মিনিটের দিকে বাসায় প্রবেশ করে। এ সময় বাসায় ৫ মাসের শিশু পুত্রকে নিয়ে বাসায় ছিলো মীম। দুর্বৃত্তরা বাসায় ঢুকে মীমের হাত পা বেধে গায়ে আগুন ধরিয়ে বাইরে থেকে সিটকানী বন্ধ করে পালিয়ে যায়। মিমের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে বাইরে থেকে দরজা খুলে শিশু ও মীমকে উদ্ধার করে। পরে তাকে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মীমের মৃত্যু হয়েছে।
ওসি আরো জানান, মীমের শিশু পুত্রের মাথার ৬ ভাগ দ্বগ্ধ হয়েছে। তবে সে আশংকামুক্ত।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় মীমের মামা মো. ওমর ফারুক বাদী হয়ে শ্বাশুরী পিয়ারা বেগমসহ অজ্ঞাত ৪ জনকে আসামী করে মামলা করেছে।
কি কারনে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে এবং কারা জড়িত সেই বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মতুর্জা বলেন, ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মুখোশ পরিহিত দুই জন দৌড়ে পালাচ্ছে। কারা ও কেন ঘটনা ঘটিয়েছে জানি না।
তিনি আরো জানান, মীম ও তার শ্বাশুরীর সাথে বনিবনা হতো না। মেম্বরকে দিয়ে সালিস করিয়ে দুই জনকে আলাদা থাকার সিদ্বান্ত দিয়েছি। তারা দুমকিতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো।
মীমের স্বামী প্রিন্সের মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি বলেন, কি হয়েছে আমি বলতে পারি না। আমি সুস্থ হই, তারপর বলবো।