4:20 pm , June 6, 2023
পরিবর্তন ডেস্ক ॥ পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরীবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদায়), সাবেক চীফ হুইপ, বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র সহধর্মিনী, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র মাতা শহীদ জননী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা বেগম ?এর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৭ জুন বুধবার।এ উপলক্ষে মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে।বর্নাঢ্য জীবনের অধিকারী বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সহধর্মিণী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা বেগম বরিশাল নগরীর কাউনিয়া এলাকায় অভিজাত কাজী পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।তাঁর পিতার নাম কাজী মোখলেসুর রহমান।ছাত্র জীবন থেকেই সাহান আরা বেগম রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন।১৯৬৯ সালে তিনি বরিশাল মহিলা কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন।একই ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের মাতা বেগম আরজু মনি সেরনিয়াবাত।পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।তিনি পঁচাত্তরের নির্মম ট্র্যাজেডির বেঁচে যাওয়া গুলিবিদ্ধ একজন প্রত্যক্ষ দর্শী।সেদিন ঘাতকের গুলিতে তাঁর চার বছরের শিশু পুত্র সুকান্ত বাবু, শ্বশুর আবদুর রব সেরনিয়াবাত, ননদ বেবী সেরনিয়াবাত, দেবর আরিফ সেরনিয়াবাত, এবং ভাসুর শহিদ সেরনিয়াবাত নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হন।সাহান আরা বেগম একজন মহীয়সী নারী হিসেবে সমাজ ও রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন নিজ গুণাবলীতে। রাজনৈতিক জীবনে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।তিনি যেমন প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন, তেমনি ছিলেন সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। তিনি বরিশালের অন্যতম নাট্য সংগঠন শব্দাবলী গ্রুপ থিয়েটারের উপদেষ্টামন্ডলীর চেয়ারম্যান ছিলেন।যুক্ত ছিলেন প্রান্তিক সংগীত বিদ্যালয়ের সাথেও।বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা বেগম ২০২০ সালের ৭ জুন (রবিবার) রাত সাড়ে ১১ টায় ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।তিনি স্বামী, তিন পুত্র, এক কন্যা এবং নাতী-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।