3:43 pm , June 6, 2023
চরফ্যাসন প্রতিবেদক ॥ ভোলার চরফ্যাসনে স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় নাজমা বেগম(২৭) নামের এক গৃহবধুকে মারধর করে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরপরই স্বামী সবুজ বেপারীসহ তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
সোমবার রাতে ঢালচর ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর নিজামে এঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশ গৃহবধুর স্বামীর বসত বাড়ির বাগান থেকে গাছে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠিয়েছেন। নিহত গৃহবধু চরফ্যাসন পৌর সভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুব হাওলাদারের মেয়ে।
নিহত গৃহবধুর ভাই আবুল হাসেম জানান, ছয় বছর আগে চর নিজামের আলম বেপারীর ছেলে সবুজের সাথে তার বোনের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে সাড়ে তিন বছরের এক কন্য সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তার বোনের জামাতা একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পরেন। এনিয়ে তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দম্পত্ত্য কলহ শুরু হয়। স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় তার বোনকে স্বামী সবুজ বেপারী প্রায় সময় মারধর করতেন। সোমবার রাতে স্বামীর পরকীয়া নিয়ে স্বামী সবুজ বেপারীর সাথে বোনের তর্কবিতর্ক বাধে। তর্কে জের ধরে বোনকে মারধরের পর মৃত্যু নিশ্চিত হলে মৃত্যুকে অন্যভাবে প্রভাবিত করতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে বসত বাড়ির বাগানে ঝুলিয়ে রেখে স্বামীসহ তার শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ মঙ্গলবার বিকালে বোনের মরদেহ উদ্ধার করেন।
গৃহবধুর স্বামীর পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানাযায়নি।
দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরাতহালে গৃহবধুর মাথায় একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহের সাথে স্বামীকে উদ্দেশ্যে করে লেখা ’সবুজ তোমাকে মুক্ত করে দিলাম’ একটি চিরকুট রয়েছে। মৃত্যুর কারন এখনও স্পষ্ট নয়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারন জানাযাবে।