3:40 pm , June 6, 2023
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় দুই সন্তানের জনক চাচাতো ভাইয়ের ধর্ষণের শিকার হয়ে লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে এসএসসি পরীক্ষার্থী কিশোরী। মঙ্গলবার ভোররাতে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে বলে ছাত্রীর মামাতো ভাই আল মামুন জানিয়েছেন।
আত্মহননকারী মারুফা আক্তার গলাচিপা উপজেলার চিকনীকান্দি কোর্টখালী গ্রামের মৃত আবু সালের মেয়ে ও বাঁশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। ধর্ষণকারী একই বাড়ীর বাসিন্দা মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন নুহু হাওলাদার। সে কোর্টখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী।
ছাত্রীর মামাতো ভাই আল মামুন বলেন, দুই সন্তানের জননী ও দপ্তরী নুহু এলাকার বখাটে এবং চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। মারুফাকে প্রায় সময় কু-প্রস্তাব ও প্রলোভন দিয়ে উত্যক্ত করতো । দুইদিন পূর্বে বাড়ির পাশে বাগানে নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে মারুফাকে ধর্ষণ করে। এরপর থেকে মারুফা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। তাকে চুপচাপ থাকতে দেখে তার বড় বোন কাউন্সিলিং করে কি হয় জানতে চায়। তখন মারুফা ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। এ নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির কাছাকাছি বিয়ে দেয়া বড়বোনের ঘরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। তখন বিষয়টি জানাজানি হলে কি হবে জানিয়ে ভেঙ্গে পড়ে ফুফু। এক পর্যায়ে মারুফা সেখান থেকে বেরিয়ে ঘরে এসে আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দেয়। পরে এসে দরজা ও জানালা ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মারুফাকে উদ্ধার করা হয়। রাতেই তাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোররাতে মৃত্যুবরণ করে মারুফা।
আল মামুন আরো জানান, এ ঘটনায় তার ফুফু বাদী হয়ে একমাত্র নুহুকে আসামী করে মামলা করেছেন।
কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মিরাজ মোল্লা জানান, মারুফার লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। পরে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসআই মারুফ আরো জানান, পরিবার থেকে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে ধর্ষণের মতামত চেয়েছি। প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি বলতে পারবো।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা করেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।