4:48 pm , June 1, 2023
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কলাপাড়া উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়েও চলছে প্রাইভেট ও কোচিং বানিজ্য। অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন উপজেলার অন্যতম ক্লাস্টার প্রধান মহিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাইভেট ও কোচিং বানিজ্যের কারনে প্রকৃত শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বাড়প্রান্তে পৌছেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকরা কোচিং বানিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষিকা তৃপ্তি রানী নিজেই অভিভাকদের ফোন করে নির্দিষ্ট শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করে। সহকারী শিক্ষকরা তাদের বাসায় কোচিং সেন্টার খুলেছেন। ওই স্কুলের শিক্ষকদের বাহিরে প্রাইভেট পড়লে শিক্ষার্থীদের উপর মানষিক ও শারিরীক নির্যাতন করা হয়। অভিযোগ রয়েছে পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে কোচিং শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হয়। রয়েছে শিক্ষকদের মাঝে গ্রুপিং। স্বামী- স্ত্রী একই স্কুলে কোচিং বানিজ্যে করাসহ পাঠদান এবং বিভিন্ন অনিয়মে ধংসের দাড়প্রান্তে দাড়িয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। অসংখ্য অভিভাকদের অভিযোগ এই প্রাইভেট বানিজ্যের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষিক তৃপ্তি রানী ভৌমিকের কাছে একাধিকিার অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি এই বিষয়ে কর্নপাত না করে বরং তিনি নিজেই অভিভাবকদের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন।
অভিভাবক মঞ্জু মুসুল্লী জানান, প্রধান শিক্ষক এই বিদ্যালয়ে প্রায় ৩০ বছর কর্মরত রয়েছেন। তাই তার স্বেচ্ছাচারিতা বেড়ে গেছে। ২০২২ বার্ষিক মূলায়ন পরীক্ষায় তাদের দূর্নীতি সীমা ছাড়িয়ে গেছে। শুধু কোচিং এর শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কোন শিক্ষার্থী ভালো ফলাফল করতে পারেনি। এ নিয়ে সাধারন অভিভাবকেদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে গিয়েও কোন লাভ হয়নি।
অভিভাবক আলতাফ হাওলাদার বলেন, আমার ছেলে ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী। তাকে বাহিরে শিক্ষকের কাছে পড়ানো হয়। এজন্য প্রধান শিক্ষিকা আমাকে একাধিক বার ওই স্কুলের শিক্ষক দম্পতির কোচিং এ পড়ানোর নির্দেশ দেন। শুনেছি তিনি নাকি তার শিক্ষকদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নেন। এভাবে অনেক সাধারন শিক্ষার্থীর অভিভাকদের অভিযোগ রয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা সর্বশেষ নীতিমালায় আইনের ১৬ নম্বর ধারায় প্রাইভে ও কোচিং সংক্রান্ত বিধানে উল্লেখ আছে, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট-টিউশনের মাধ্যমে পাঠদান করতে পারবেন না। কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে অর্থের বিনিময়ে ইলেকট্রনিক বা অনলাইন পদ্ধতিতেও প্রাইভেট টিউশন বা কোচিংয়ের মাধ্যমে পাঠদান করতে পারবেন না। করলে তা অসদাচরণ বলে গণ্য ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। কিন্তু এই অনিয়ম বানিজ্যে মহিপুর সংরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল প্রধান শিক্ষকসহ কিছু অসাধু সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ সম্পর্কে প্রধান শিক্ষিকা তৃপ্তি রানী ভৌমিক বলেন, স্কুলে কোন কোচিং বানিজ্য হয় না। বাসায় কোচিং করে কিনা বিষয়টি আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, তাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।