4:41 pm , June 1, 2023
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীমের নির্বাচনী প্রচারনায় ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার অভিযোগ তুলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত দিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী। বৃহস্পতিবার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরের সাথে সাক্ষাত করে লিখিত অভিযোগ স্বতন্ত্র পদে মেয়র প্রার্থী হাতি প্রতীকের মো. আসাদুজ্জামান। এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বলেন, সিটি নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকের প্রাথীর পক্ষে নগরীর প্রচার মাইকে “এবার যেখানে সেখানে ভোট দিবেন না ভাই”, “হাতপাখায় ভোট দিলে আল্লাহ রসুল পায়” ও “ হাতপাখাতে ভোট দিলে ভাই আল্লাহ খুশি হয়, রসুল খুশি হয়” প্রচারনা করা হয়। প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, যেখানে সেখানে ভোট দিবেন না ভাই উল্লেখ করে প্রচারনা করে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের মাধ্যমে মানহানি করছেন। এছাড়াও হাতপাখায় ভোট দিলে আল্লাহ রসুল পায় ও হাতপাখাতে ভোট দিলে ভাই আল্লাহ খুশি হয়, রসুল খুশি হয় প্রচারের মাধ্যমে ধর্মী অনুভুতিতে আঘাত হেনেছেন। এখানে শুধু মুসলিম নয়, হিন্দু-খ্রীষ্টান ও বৌদ্ধসহ বিভিন্ন ধর্মের ভোটার হয়েছেন। এ প্রচারনার মাধ্যমে তাদের ভোট দিতে অনুৎসাহিত করা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক পরিবেশ বিনষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আসাদ আরো বলেন, অভিযোগ পেয়ে রির্টানিং কর্মকর্তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগে আসাদ উল্লেখ করেছেন, হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীমের নির্বাচনী শতাধিক প্রচার মাইকে গান বাজিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে প্রচার অভিযান পরিচালনা করছে। যেটা মেয়র প্রার্থী হিসেবে তিনি মনে করেন ভোটারদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছে এবং যা তার নির্বাচনে বিরুপ প্রভাব বিস্তার করছে। এতে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি তিনটি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সংক্রান্ত বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেন। যা হলো- হাতপাখা প্রার্থীর “এবার যেখানে সেখানে ভোট দিবেন না ভাই”, “হাতপাখায় ভোট দিলে আল্লাহ রসুল পায়” ও “ হাতপাখাতে ভোট দিলে ভাই আল্লাহ খুশি হয়, রসুল খুশি হয়”।
তিনি প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে এগুলো আপত্তিকর উল্লেখ করে এ থেকে বিরত রাখার আবেদন করেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, আমি নিজে একজন ধর্মীয় লোক, আমার দাড়ি-টুপি, পোশাক, কলেমা, নামাজ, আচরণ, কৃষ্টিকালচার সবই ধর্মীয়। যারা ধর্ম পালণ করে না তার তো আমাকে ধর্মীয় হিসেবেই দেখবে, কিন্তু আমি তাদের বলছি নির্দিষ্ট করে বলতে হবে সেই ধর্মীয় উস্কানিটা কি দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমি খ্রিষ্টান, হিন্দুসহ সবার কাছে গিয়েছি। হিন্দুরা আমার জন্য কাজও করছে, আমি যদি ধর্মীয় উস্কানি দিতাম তাহলে তারা আমার জন্য কেন কাজ করবে। বরং আমরা ধর্মীয় সহঅবস্থান সৃষ্টি করতে চাই এবং ধর্মীয় সহঅবস্থান সৃষ্টি করতে পারবো এই বিশ্বাস আছে বলেই তারা আমার পক্ষে কাজ করছে। আসলে ব্যাপারটা হলো হাতপাখার গণজোয়ার দেখে তারা ঈর্ষান্বিত।