3:52 pm , May 30, 2023
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সিটির নির্বাচনী প্রচারনায় সময় যত কমে আসছে, ততই ঘুম হারাম হয়ে আসছে মেয়র সহ বেশীরভাগ কাউন্সিলর প্রার্থীর। সকাল থেকে মধ্যরাত অবধি প্রার্থীদের প্রচার কর্মীরা বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার দড়জায় কড়া নেড়েই চলেছেন। ফলে সাধারন নাগরিকদের স্বস্তিও অনেকটা কেড়ে নিচ্ছে নির্বাচনী প্রচারানা। আগামী ১২ জুন বরিশাল নগর পরিষদের ৫ম নির্বাচনে নগরীর ২ লাখ ৭৫ হাজার ২৬৭ জন ভোটার ১২৪ টি কেন্দ্রের ৯৫৩ টি কক্ষে একজন মেয়র ছাড়াও ৩০ জন সাধারন ও ১০ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নির্বাচনে ভোট দেয়ার কথা। এবার ৭ জন মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ১১৬ জন সাধারন কাউন্সিলর ও ৪২ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ১০টি সংরক্ষিত আসনে ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন।
১৮৭৫ সালে গঠিত বরিশাল পৌরসভা ২০০২ সালে সিটি করপোরেশনে উন্নতি হবার পরে ২০০৩ সালে নগর পরিষদের নির্বাচনে প্রথমভোট দেয়ার সুযোগ লাভ করেছিলেন নগরবাসী। সর্বশেষ ২০১৮ সালে বরিশাল নগর পরিষদের ৪র্থ নির্বাচন ও জাতীয় সংসদের কথিত নির্বাচনের তিক্ত অভিজ্ঞতায় এ নগরীর বেশীরভাগ মানুষ ইতোমধ্যে নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি নুন্যতম আগ্রহও হারিয়ে ফেলেছেন। এ বিবেচনায় ১২ জুন ভোটারদের রায় পাবার চেয়েও বরিশাল সিটি নির্বাচনের প্রতি জনআস্থা তৈরীই এখন সব প্রার্থীর কাছে মূখ্য বিষয় হয়ে আছে।
ফলে এবার এখনো কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতিই প্রার্থীদের কাছেও প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে। কারণ ইতোমধ্যে ১২ জুনের নির্বাচনে প্রার্থীদের বেশীরভাগই ভোটারের ভোট ছাড়া নির্বাচনী বৈতরনী পার হবার সুযোগ নেই বলেই বুঝতে শুরু করেছেন।
পাশাপাশি প্রতি দিনই ভোট গ্রহনের দিন একটু করে ঘনিয়ে আসার সাথে প্রচারনা সময় কমে আসায় প্রর্থীদের ¯œায়ুচাপ ক্রমশ বাড়ছে। এর পরেও মুখে হাসি নিয়ে প্রার্থীরা পাড়া মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন। তবে এখনো বরিশাল মহানগরীতে তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও প্রচার প্রচারনার ক্ষেত্রে নির্বাচনী আচরন বিধি উপেক্ষিত হবারও অভিযোগ উঠছে প্রতিদিনই।
এদিকে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ মঙ্গলবারও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গনসংযোগকালে নগরভবনের নানা দূর্নীতি ও অব্যস্থার সহ নগর করের বাড়তি বোঝার বিষয়ে প্রশ্নের সম্মুখিন হন। তবে তিনি নির্বাচিত হলে নগর ভবনকে দূর্নীতিমুক্ত ও জনবান্ধব সেবা মূলক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করার অঙ্গিকারের কথা জানান।
ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মঙ্গলবারও নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে গনসংযোগকালে নগরবাসীর মতামতের ভিত্তিতেই নগরভবন পরিচালনার অঙ্গিকারের কথা পূণর্ব্যক্ত করেন।
জাপা প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস মঙ্গলবারও নগরীর একাধিক ওয়ার্ডে গনসংযোগ কালে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি কারো নাম উল্লেখ না করে বলেন, ওরা দূর্ণীতিবাজ, ওদেরকে বিশ^াস করবেন না। তারা বরিশাল বাসীর সাথে প্রতারনা করেছে। তাদেরকে ভোট দেবেন না।
এদিকে ভোট গ্রহনের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে নির্বাচন কমিশনও তাদের প্রস্তুতি চুড়ান্ত করছে। ইতোমধ্যে ইভিএম বরিশালে পৌছেছে। প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার সহ ভোট গ্রহনের লক্ষ্যে সব কর্মকর্তাদের তালিকা চুড়ান্ত করে তাদের নিয়োগ এবং প্রশিক্ষন কার্যক্রমও শুরু হতে যাচ্ছে।