4:17 pm , May 28, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন ইউনিয়নে জেলেদের মাঝে জাটকা শিকার নিষিদ্ধ সময়ে জন্য দেয়া চাল বিতরনের অভিযোগ উঠেছে। রোববার ট্যাগ অফিসার ও মৎস্য দপ্তরের প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতি চাল বিতরন করা হয়। অভিযোগ পেয়ে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাল বিতরন বন্ধ করে দিয়েছে।
জেলেরা জানায়, সদর উপজেলা চন্দ্রমোহন ইউনিয়নে এক হাজার ৫শ জেলে রয়েছে। পাঁচ বছর পূর্বে মৎস্য দপ্তর ৮০০ জেলেকে চার মাসের চাল দেয়ার জন্য বাছাই করে। এরপর থেকে প্রতি বছর চাল পায় তারা। কিন্তু গত বছর পূর্বের ওই তালিকা পরিবর্তন করে ২৫৫ জনকে বাদ দিয়ে নতুন করে নেয়া হয়েছে। কিন্তু ওই তালিকা করতে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামসহ মেম্বররা। তারা এলাকার দোকানী, ঢাকায় চাকুরি করে, পেশাদের রেখে নিজেদের পছন্দের লোকদের নিয়ে নতুন তালিকা করেছে। তারা পূর্বের জেলে কার্ড বাদ দিয়ে ৫/৭ হাজার টাকার বিনিময়ে নতুন লোকদের অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলে রুহুল আমিন, কলম খান, আবু চকিদারসহ অন্তত ২০ জন জেলে। বর্তমানে চার জেলের মৃত্যুর কারনে ৭৯৬ জন জেলের জন্য চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়। কিন্তু তাদের সঠিকভাবে দেয়া হয় না। এর মধ্যে অনেক জেলেকে দুই মাস, কাউকে তিন মাস করে চাল দেয়া হয়েছে।
অভিযোগকারী জেলেরা অভিযোগ করেছেন, সরকার চার মাস করে কার্ডধারীদের দেয়া নিয়ম। কিন্তু চন্দ্রমোহন ইউপিতে মাষ্টার রোল করে টিপ নিয়ে চাল দেয়া হচ্ছে। যার কারনে প্রকৃত জেলেরা বঞ্চিত হচ্ছে।
ওই জেলেরা জানান, রোববার অনিয়মের মাধ্যমে চাল দেয়া শুরু করে। এ সময় ট্যাগ অফিসার উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. একেএম আল মামুন কিংবা মৎস্য দপ্তরের কোন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলো। তাদের অনুপস্থিতিতে ২৪০ জনের মাঝে চাল বিতরন করা হয়। এ অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিরুজ্জামান ঘটনাস্থলে উপজেলা প্রকল্প প্রকৌশলী অপূর্ব রায়কে পাঠিয়ে চাল বিতরন বন্ধ করে দিয়েছেন।
ইউনিয়ন মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মাল জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম নির্বাচিত হওয়ার পর জেলেদের মাঝে চাল বিতরনের সময় তাদের ডাকেননি। কিন্তু নিয়ম রয়েছে চাল দেয়ার সময় মৎস্যজীবী সমিতির প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জিব সন্যামত বলেন, চন্দ্রমোহন ইউনিয়নে চাল বিতরনের বিষয়টি জানে না। তাই তাদের কোন প্রতিনিধি সেখানে ছিলো না।
ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করুন।