4:05 pm , May 28, 2023
সাইদ মেমন/হেলাল উদ্দিন ॥ সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০ টি আসনে ভোট যুদ্ধে ৪২ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাঠে টিকে রয়েছেন। যেখানে ৭৫ শতাংশ অর্থাৎ ৩০ জন প্রার্থীই রয়েছেন পেশায় গৃহিনী। তবে পেশার পাশাপাশি কেউ কেউ নিজেকে সমাজসেবক, প্রাইভেট টিউটর ও হস্তশিল্পী বলেও উল্লেখ করেছেন। এর বাইরে ৭ জন ব্যবসায়ী, ২ জন হাঁস ও মুরগী পালনকারী, ১ জন চাকরিজীবী রয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৪২ জন প্রার্থীদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যকের রাজনৈতিক কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। এমনকি প্রায় দুই তৃতীয়াংশ প্রার্থীর নিজস্ব কোনো আয়ের উৎস নেই। আর ৫০ শতাংশ প্রার্থী মাধ্যমিকের গন্ডি পার করতে পারেননি। এসব প্রার্থীরা স্বামী বা পরিবারের অন্য কারো ওপর নির্ভরশীল। তারপরও তারা জনসেবায় নিজেদের সম্পৃক্ত রাখতে সবসময় কাজ করে যাচ্ছেন। আর নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণকে ইতিবাচক দেখেছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা। আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিতব্য বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, যাছাই-বাছাই, প্রত্যাহার আর বাতিলের পর নির্বাচনে মোট ১৬৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৪২ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মোট ৪২ প্রার্থীর মধ্যে ৮৬ শতাংশের মূল পেশা গৃহিণী। অনেকে লিখেছেন হাঁস-মুরগি প্রতিপালন। ৫ জন রয়েছেন ব্যবসায়ী আর একজন রয়েছেন একটি বেসরকারি হাসপাতালের রিসিপশনিষ্ট। ফলে প্রার্থীরা উল্লেখযোগ্যভাবে নিজস্ব কোনো সম্পদ দেখাতে পারেননি। শিক্ষাগত যোগ্যতাও তেমন নেই। মোট প্রার্থীর মধ্যে ৫০ শতাংশ এসএসসি পাস করতে পারেননি। যে পঞ্চাশ শতাংশ এসএসসি পাস করতে পারেননি তাদের অধিকাংশ আবার অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়ায় সীমাবদ্ধ। আবার অনেকে এখনো উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন। ১৬ শতাংশ প্রার্থী এসএসসি পাস করেছেন। আর ৩৩ শতাংশের কিছু বেশি প্রার্থী উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার স্তর পার করেছেন।
১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী ৫ জন। এরা হলেণ : আঞ্জুমান আরা সাথী (বিএসএস এলএলবি, পেশায় গৃহিনী), নুরুন্নাহার বেগম পুষ্প (শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি, পেশায় গৃহিনী)। ডালিয়া পারভীন (বিএ,পেশায় গৃহিনী)। সাহানা বেগম (অষ্টম শ্রেণি, পেশা গৃহিনী)। শারমিন আক্তার (অষ্টম শ্রেণি, পেশা গৃহিনী)। ২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী ৫ জন। বর্তমান কাউন্সিলর জাহানারা বেগম (অষ্টম শ্রেণি,পেশা গৃহিনী)। সাবেক কাউন্সিলর আলমতাজ বেগম (অষ্টম শ্রেণি, পেশা ব্যবসা) । তার নামে একটি মামলা ছিলো যা থেকে তিনি খালাস পেয়েছেন। জোছনা বেগম (স্ব-শিক্ষিত,পেশা ক্ষুদ্র ব্যবসা)। নীলা বেগম (অষ্টম শ্রেণি,পেশা গৃহিনী)। বেবী বেগম ( স্ব-শিক্ষিত, পেশা গৃহিনী। তিনিও একটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। ৩ নং ওয়ার্ডে তানবি আফরিন ( বিএ পাস, পেশা বেসরকারী চাকরি)। নিগার সুলতানা হনুফা, (বিএ পাস, পেশা ক্ষুদ্র ব্যবসা)। কোহিনুর বেগম, (শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেননি), তিনি পেশায় গৃহিনী। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে চারজন প্রার্থী। নাজমুন নাহার লাকি (অষ্টম শ্রেণি, পেশা গৃহিনী)। নার্গিস সুলতানা চায়না (বিএ পাস,পেশা গৃহিনী)। মাকসুদা আক্তার মিতু (বিএ সম্মান,পেশা গৃহিনী)। দুইটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি। আয়শা তৌহিদ লুনা এসএসসি, (পেশা সমাজ সেবিকা ও ব্যবসা)। একটি মামলায় খালাস, একটি চলমান। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে চারজন প্রার্থী। কামরুন্নাহার রোজী (এসএসসি অকৃতকার্য, পেশায় গৃহিনী)। ইসরাত জাহান (বিএ পাস, পেশা গৃহিনী)। মিসেস লিকা এসএসসি, পেশা গৃহিনী)। সৈয়দা ইসমত আরা জাহান (বিএসএস, পেশা হাস-মুরগী পালন)। ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। হোসনে আরা বেগম (এসএসসি, পেশা উল্লেখ কনেনি)। মজিদা বোরহান (অষ্টম শ্রেণি,পেশা গৃহিনী)। বিউটি আক্তার (অষ্টম শ্রেণি, পেশা গৃহিনী)। সাবিহা সুলতানা (এসএসসি, পেশা গৃহিনী)। মরিয়ম সুলতানা (এসএসসি, পেশা গৃহিনী) ফরিদা বেহম (স্ব-শিক্ষিত, পেশা গৃহিনী)। গায়েত্রী সরকার পাখি ( বিএ পাস, পেশা উল্লেখ করেননি)। বেলী রানী সাহা, (এমএ এলএলবি,পেশা ক্ষুদ্র ব্যবসা)। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী তিনজন। খাদিজা বেগম (এইচএসসি, পেশা গৃহিনী), সালমা আক্তার শিলা (বিএ এলএলবি, পেশা গহিনী) রোকসানা বেগম (এইচএসসি, পেশা গৃহিনী)। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন প্রার্থী। সেলিনা বেগম (অষ্টম শ্রেনী, পেশা উল্লেখ নেই)। রেশমি আক্তার অষ্টম শ্রেণি, পেশা গৃহিনী)। সাবিনা ইয়াসমিন (এমএ, পেশা উল্লেখ করেননি)। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন প্রার্থী। সালমা বেগম (দশম শ্রেণি, পেশা মুদী দোকানী)। নাজনীন আক্তার (বিএ,পেশা গৃহিনী) ডালিম বেগম (অষ্টম শ্রেণি, পেশা হাস-মুরগী পালন) সেলিনা বেগম (৫ম শ্রেণি,পেশা গৃহিনী ও সমাজ সেবিকা)। নচারটি মামলা থেকে অব্যাহতি, একটি বিচারাধীন। শারমিন আক্তার কাজল (স্ব শিক্ষিত, পেশায় ফার্নিচার ব্যবসায়ী)। ১০ নং ওয়ার্ডে দুইজন প্রার্থী। ফাতেমা রোজী (এসএসসি চলমান, পেশায় গৃহিনী)। একটি মামলা চলমান। রাশিদা পারভীন (এসএসসি, পেশা দেননি)।