4:02 pm , May 28, 2023
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সিটি নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যত্যয় ঘটলে তার দায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। পক্ষপাতিত্বহীন নির্বাচন উপহার দিতে তার কমিশন বদ্ধপরিকর বলেও জানিয়েছেন সিইসি। রোববার বিকেলে নগরীর সার্কিট হাউজের সভাকক্ষে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি আরও বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা হচ্ছে নির্বাচনটা সুষ্ঠু হতে হবে, আইন-শৃঙ্খলা বজায় থাকতে হবে। ওনারা যদি চ্যালেঞ্জ ফেজ করে থাকেন তাহলে সেটা ওনাদের ব্যাপার। কিন্তু আমরা সেটা ট্রলারেট করবো না। কোন চ্যালেঞ্জ আসলে সেটা আপনাদের মোকাবিলা করতে হবে, আইন-শৃঙ্খলার কোন ব্যত্যয় ঘটলে সেটার দ্বায়-দায়িত্ব ওনাদের নিতে হবে। আমাদের বিশ্বাস আছে ওনাদের সেই প্রফেসনালে ক্যাপাসিটি আছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, আমাদের নির্বাচন কমিশনের যে ম্যানডেট এবং আমাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য খুব ছোট। সেটা হলো যেকোন নির্বাচনে ভোটাররা ভোটদিতে আসবে নির্ভয়ে এবং তারা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। তারা কাকে ভোট দিবেন, কে জিতলো, কে হারলো সেটা আমাদের বিষয় নয়। কিন্তু ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার যে দায়িত্ব সেটা পালনে আমরা সচেষ্ট। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা ভালো নির্বাচন করেছি মুখে বললাম সেটা অনেকেই বিশ্বাস করবে না। নির্বাচনটা ভালো হলো কি হলো না সেটার একটি স্বচ্ছতা বা গ্রহনযোগ্যতা থাকতে হবে। এজন্য মিডিয়া ছবি তুলবে, দেখাবে, তারা তথ্য সংগ্রহ করবে, সম্প্রচার করবে। এতে জনগন মিডিয়ার মাধ্যমেই জানবে নির্বাচনটা কতটা অবাধ, নিরপেক্ষ হয়েছে। আমরা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করেছি, নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে যে নির্দেশনাগুলো আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। নির্বাচনের সময় আগামী কয়েকটা দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে, নির্বাচনী আচরণবিধি প্রয়োগ করতে হবে। প্রার্থীদের সেগুলো প্রতিপালন করতে এবং দেখতে হবে সেগুলো প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা। না হলে প্রতিপালনে বাধ্য করতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন পরিবেশ অনুকুলে রাখতে হবে, যাতে আগামী দিনগুলোতে যে নির্বাচন হবে সেখানে নারী-পুরুষরা অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সিইসি বলেন, কখনোই আমরা আশা করিনা সকলেই একবাক্যে নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করবে। কিন্তু আরোপিত দায়িত্বটা আমরা সততা, নিষ্ঠার সাথে আইনানুগতার সাথে প্রতিপালন করছিনা সেটা আমাদের বিষয়। আমরা বার বার বলেছি পক্ষপাতিত্বের কোন স্কোপ নেই। আমরা সবাইকে খুব জোড়ালো ভাষায় বলেছি নিরপেক্ষতা থেকে কাজ করার বিষয়ে। এ সময় বরিশালের নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আহসান হাবিব খান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোঃ জাহাংগীর আলম, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আমিন উল আহসান, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সাইফুল ইসলাম-বিপিএম, র্যাব-৮ অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহামুদুল হাসান, জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন, সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবিরসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।