১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সব প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর অনলাইনে অপপ্রচারের অভিযোগ ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সব প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর অনলাইনে অপপ্রচারের অভিযোগ - ajkerparibartan.com
১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সব প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর অনলাইনে অপপ্রচারের অভিযোগ

4:12 pm , May 27, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে অন্যান্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই প্রার্থীর নাম মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার চুন্নু। তিনি তার প্রকাশিত আমাদের বরিশাল নামে একটি অনলাইন পোর্টালে ওই ওয়ার্ডের নির্বাচনে অংশ গ্রহন করা প্রতিদ্বন্দ্বী ৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। যে সংবাদে ওই সব প্রার্থীদের কাউকে মানসিক রোগী, টাকা বিলিয়ে সমাজ সেবক, এলাকা পরিচিত না এমন অনেক কথা লিখে সম্মানহানী করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ওই অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রকাশক চুন্নু। বিষয়টি নিয়ে ওয়ার্ডের ভোটার, সুশীল সমাজ ও প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া সহ আইনি পদক্ষেপ গ্রহনের কথা জানিয়েছেন একাধিক প্রার্থী। তবে নিউজ প্রকাশের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিউজটি ডিলিট করার কথা বলেছেন মেয়াজ্জেম হোসেন চুন্নু।
গত ২৩ মে আমাদের বরিশাল নিউজ পোর্টালে ‘বিসিসি নির্বাচন : ১৫ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচন জমজমাট’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যে সংবাদে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভোটারের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রার্থী আবদুল কাদের শামীম কে মানসিক রোগী, প্রার্থী মাহমুদুল আলম চঞ্চল কে আমেরিকা প্রবাসী আখ্যা দিয়ে টাকা বিলিয়ে সমাজ সেবক, সামজিদুল কবির বাবুকে অইডু একটু পোলা ও টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চায় প্রার্থী, সিদ্দিকুর রহমান কে এলাকায় ব্যক্তি হিসাবে অপরিচিত উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও অন্যান্য প্রার্থীদের নানাভাবে অপবাদ দিয়ে হেয় করা হয়েছে ওই সংবাদে। বিপরীতে মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নু নিজের ঢোল নিজে পিটিয়েছেন সংবাদে। নিজেকে সকল প্রার্থীর চেয়ে সব চেয়ে শিক্ষিত ও রাজনৈতিক বিভিন্ন পদ পদবী দিয়ে নিজেকে ওই ওয়ার্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
তার এই অপপ্রচারের বিষয়ে প্রার্থী আবদুল কাদের শামীম বলেন, তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও আমাকে মানসিক রোগী বললেও আমি তাকে কিছু বলবো না। কারন এটা নির্বাচনী মাঠ। ভোটাররাই এই মিথ্যাচারের বিচার করবেন। প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ভোটের মাঠে অনেকে অনেক কথা বলতে পারে। তাই বলে নিজের অনলাইনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা সম্পূর্ন বেআইনী। আমাদের সকল প্রার্থীদের উচিৎ তার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া। প্রার্থী সামজিদুল কবির বাবু বলেন, ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এভাবে চরিত্র হনন করার অধিকার কোন  প্রার্থীর নেই। আমি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নু নিজেকে ওই অনলাইন পোর্টালের প্রকাশক বলে স্বীকার করলে প্রথমে তিনি নিউজের দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তিনি প্রকাশিত সংবাদটি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন ‘সংবাদটি প্রকাশ করা ঠিক হয়নি। আমি নিউজটি ডিলিট করে দিচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১৫ নং ওয়ার্ডের একাধিক ভোটার ও বাসিন্দা বলেন, এটা সম্পূর্ন নোংরামী। সংবাদটি মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার অনুসারীরা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। আমরা একজন প্রার্থীর কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ প্রত্যাশা করিনি।
অপর এক বাসিন্দা ও ভোটার বলেন, সংবাদে দেখলাম তিনি নিজেকে সবচেয়ে শিক্ষিত বলে দাবী করেছেন। তাহলে একজন শিক্ষিত লোক হয়ে এই কাজ কিভাবে করেন। আমি মনে করি তার মধ্যে শিক্ষার আলো পৌছায়নি।
রিটার্নিং অফিসার মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, এটা নির্বাচনী আচরণ বিধি পরিপন্থী। এ বিষয়ে কোন প্রার্থী লিখিতভাবে অভিযোগ করলে তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত এই ওয়ার্ডে ৭ জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT