4:08 pm , May 27, 2023
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গাজীপুরের পরাজিত প্রার্থীও নির্বাচন নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। বরিশাল সিটি করপোরেশন গাজীপুরের তিনভাগের একভাগ। সিসি ক্যামেরায় ১২৬ কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। এই ইভিএম ইন্টারনেট কানেক্টেড নয়। আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া মাত্রই এটির ব্যালট ওপেন হবে। কোনো মাস্তানী বা অসৎ আচরণ কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে জানান সিইসি। হঠাৎ ঝটিকা সফরে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন ২০২৩ প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুলআউয়াল। তিনি প্রথমে কাউন্সিলর, সংরক্ষিত নারী প্রার্থী ও মেয়র প্রার্থীদের অভিযোগ শোনেন এবং সবশেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেছেন, আচরণ বিধি মানাটা আপনাদের প্রতিপালন করতে হবে। আমরা সবকিছু দেখবোনা, দেখতে পারবোনা। তবে নিউজ মিডিয়াকে আমরা গুরুত্ব দেই।
আমাদের দিক থেকে চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবেনা। গাজীপুরে লক্ষ লক্ষ ভোটার গার্মেন্টস শ্রমিক। তারা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিয়েছেন। আপনার সমর্থক থাকলে ভোট পাবেন।
অভিযোগ করলে হবে না, অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রমাণ দিতে হবে। কালো টাকা চোখে দেখা যায়না। কিন্তু সেটার বাড়াবাড়ি স্পষ্ট হয়।
২৭ মে শনিবার রাত আটটায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয় আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান। এসময় সিটি করপোরেশনের ৭জন মেয়র প্রার্থীসহ ১৭৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থীও উপস্থিত ছিলেন।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত ইভিএম পদ্ধতিকে সাধুবাদ জানালেও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস এর বিরোধিতা করেন। তিনি প্রশাসনের রদবদল এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবী জানান। একই দাবী ও অভিযোগসহ ইভিএম পদ্ধতির অনেক কৌশলী বিষয়ের চিহ্নিত করে হাতপাখা প্রার্থী মুফতি ফায়জুল করীম স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হলে এই নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করবে কিনা প্রশ্ন তোলেন। এই মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব মোঃ আহসান হাবিব খান, সচিব জাহাঙ্গীর আলম, ডিআইজি আক্তারুজ্জামান, পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।অনুষ্ঠানের শুরুতেই নিজেই মাউথপিস হাতে তুলে নিয়ে সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন নির্বাচন কমিশন সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বিভিন্ন ওয়ার্ড ধরে ধরে সমস্যা জানতে চাইলে, খুব একটা সমস্যা খুজে পাওয়া যায়নি। তিনি এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট এর শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন। ১৫ নং ওয়ার্ডের অভিযোগ প্রতিদ্বন্দ্বীর টাকার গরম।৩০ নং ওয়ার্ড থেকে ২৬ নং ওয়ার্ড থেকে শাহিন হাওলাদার নির্বাচন ক্যাম্প নিয়ে প্রশ্ন করেন। সাধারণ কাউন্সিলরদের জন্য তার ওয়ার্ডে একটি, সংরক্ষিত নারী প্রার্থী তিন ওয়ার্ডে তিনটি এবারের মেয়র প্রার্থী তার এলাকার চার থানা হলেও সিটি করপোরেশন এলাকায় তিনটি থানা তাই তিনটি নির্বাচনী ক্যাম্প হতে পারবে। ১১ নং ওয়ার্ড এর অভিযোগ হয়রানির। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ডাকলেন, তিনি জানালেন এ অভিযোগকারী কখনোই আসেনি। ওয়ার্ড ৮ থেকে অরুণ দাস বললেন কোনো সমস্যা নেই। ৬ নং ওয়ার্ড আব্দুস ছামাদ মনুর অভিযোগ পোস্টার ও চেয়ার। ৪ নং ওয়ার্ডের এলাকার নয়, ইউনিয়নের হোমরা চোমরারা এসে ডিস্টার্ব করে। রাত ১০ টার পর ৩ টা পর্যন্ত। মুরতজা আবেদিন তার এলাকার চারটি সেন্টার ঝুকিপূর্ণ দাবী করে অভিযোগ করেন। এসময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব আহসান হাবিব বলেন, এ পর্যন্ত ইভিএম এ প্রায় ৭০০ নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়েছে। আমি শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি। ইভিএম আপনারা আবার চাইবেন।