৪০ লাখ থেকে একলাফে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ৪০ লাখ থেকে একলাফে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা - ajkerparibartan.com
৪০ লাখ থেকে একলাফে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা

4:32 pm , May 26, 2023

বিশৃঙ্খল পোর্ট রোড বাজারের টেন্ডার নিয়ে জটিলতা
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ মাছের বাজার, ফলের বাজার বা সবজি বাজার সবকিছুরই পাইকারী ও খুচরা বিক্রির কেন্দ্রবিন্দু বরিশালের পোর্ট রোড বাজারটি। আর এই বাজারের একাংশ বরিশাল সিটি করপোরেশনের হলেও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিআইডব্লিউটিএর অধীনে। আর এ নিয়ে সৃষ্টি হয় যত জটিলতা। জানা যায়, মাছ বাজার বা মৎস্য আড়তের দায়িত্ব শুধু সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের আর এটা প্রতিবছর চৈত্র বা ইংরেজি মার্চ মাসে টেন্ডার দেয়া হয়। কিন্তু বাকী অংশের টেন্ডার হয় সাধারণত জৈষ্ঠ মাসে বা মে মাসের মধ্যে। মাছ বাজারের অংশ সিটি করপোরেশন পরিচ্ছন্ন রাখতে পারলেও বাকী অংশের দায়িত্ব কে নেবে তা নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। যে কারণে এখানে সড়কে অহরহ যানজট ও বিশৃঙ্খলা লেগেই থাকে।
সরেজমিন অনুসন্ধানে শুক্রবার সকালে পোর্ট রোডের চিত্র দেখলে যে কারো মনে হতে পারে এ বাজারের বুঝি কোনো অভিভাবক নেই। লঞ্চঘাট থেকে কলাপট্টি পর্যন্ত সড়কের উপর বসেছে বাজার। রয়েছে সারিসারি ট্রাকের ভীড়। এসব ঠেলে কোন যানবাহন ভিতরে প্রবেশ করাও দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সরকারি বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ভীড়তো আছেই। সাথে আছে পাইকারী ব্যবসায়ীদের পরিবহন বোঝাই করে দূর দূরান্তে পণ্য বিক্রির চেষ্টা। কিছুদিন আগেও মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল ছিলেন এ অঞ্চলের হর্তাকর্তা। এখন সে না থাকায় বাজারের পরিবেশ বদলেছে বলে দাবী ব্যবসায়ীদের। মাছ বাজারের ইজারাদার এখনো টুটুলই আছেন। চল্লিশ লাখ টাকায় গত চৈত্র মাসে সিটি করপোরেশন থেকে ইজারা নিয়েছেন তিনি। সিটি করপোরেশনের হাটবাজার শাখার পরিদর্শক রেজাউর রহমান জানান, মাছ বাজার সিটি করপোরেশনের হলেও পোর্ট রোডের বাকী অংশ বিআইডব্লিউটিএর অধীনে। শুনেছি তারা ইতিমধ্যেই তাদের অংশ ইজারা দিয়েছেন। প্রতিবছর এই সময়েই ইজারা সম্পন্ন হবার কথা বলে জানান রেজাউর রহমান। এখানে কয়েকজন ফল ব্যবসায়ী বলেন সব মিলিয়ে এ অংশে ২০০ এর মতো দোকান আড়ৎ রয়েছে। গত কয়েকদিন আগে এখানকার ব্যাবসায়ীদের নেতা খান হাবীব ইজারায় অংশ নিয়েছেন ও সর্বোচ্চ ডাকে কিনেছেন। তারপর কি হয়েছে জানিনা। তিনি পাননি আগামী ২৮ মে আবার ইজারা দেওয়া হবে বলে শুনেছি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। রাস্তার যানজট ও অপরিচ্ছন্নতা দূর করতে দ্রুত এ অংশের ইজারা সম্পন্ন করার দাবী সকলের।
আড়ৎদার ও ব্যবসায়ী খান হাবীব বলেন, এ অংশের ইজারা বিআইডব্লিউটিএর হাতে। আমি সর্বোচ্চ তিন কোটি চল্লিশ লাখ টাকায় টেন্ডার ক্রয় করেছি। আমার সবকিছু ঠিক আছে। শুধু নাকি টাকার উল্লেখ অংকে করা হয়নি অভিযোগে তারা আমাকে বাদ দিয়ে পুনরায় টেন্ডার ডেকেছেন। গত ২৪ মে বুধবার আমি জানতে পারলাম আমার আবেদনে সবকিছু বাংলায় লেখা হয়েছে। টাকার অংকও বাংলায় হয়েছে। অংক লেখা না হওয়ায় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ রিটেন্ডার ডেকেছে। আগে এই টেন্ডার টুটুল এনেছিল চল্লিশ লাখ টাকায়। এখন তা ৩ কোটি চল্লিশ লাখ হয়েছে বলে জানান হাবীব।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT