4:49 pm , May 24, 2023

মাসুম বিল্লাহ্ ॥ বরগুনার কথিত চিকিৎসক মোকামাল হোসেন তার বিরুদ্ধে ডজনখানিক বিবাহের অভিযোগ উঠেছে। সদর ৮ নং পাজড়াভাঙ্গা ইউনিয়নের মোঃ জোনাব আলী সরদার এর ছেলে মোঃ কামাল হোসেন (৫০) সদর ২ নং ইউনিয়নের লাকুরতলা গ্রামের মোঃখলিলুর রহমান (৫০) এর স্ত্রী মোসাম্মৎ কুলসুম বেগম (৩০)তার এক মেয়ে ও এক ছেলে আছে। খলিলুর রহমান তিনি তাবলীগ জামাতে চার মাসের চিল্লাই যায়। এদিকে তার ছেলের সুন্নতে খাতনা করানোর জন্য কথিত চিকিৎসক কামাল হোসেনের চেম্বার আসিলে খতনা করান। সেই থেকে কামালের সাথে কুলসুমের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায় তাবলিগ শেষে খলিল বাড়িতে আসলে স্ত্রী কুলসুম তার স্বামীর দিকে খেয়াল না দিয়ে কামালের সাথে বিভিন্ন সময় অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায় স্ত্রীকে বাধা দিলে ১৪/০৫/২০২৩ইংরেজি তারিখে রাত ৮টার সময় ৭বছরের ছোট ছেলেকে নিয়ে কথিত চিকিৎসক কামাল হোসেনের সাথে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় ২ লক্ষ টাকার স্বর্ণ ও নগদ ৫০. ০০০ টাকা সাথে নিয়ে যায়। এদিকে স্বামী খলিলুর রহমান খবর পেয়ে কামালের চেম্বারে খোঁজাখুঁজি করলে চেম্বার বন্ধ পায়।খলিলুর রহমান নিরুপায় হয়ে বরগুনার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ৪৯৭, ৪৯৮ ও ৩৮০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। আজ ২৫/০৫/২০২৩ইং তারিখে কামাল হোসেন কোর্টে হাজিরা দিতে আসিলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহবুব আলম জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এদিকে খলিলুর রহমান তার স্ত্রী ও সন্তানের শোকে শোকাহত। এখন পর্যন্ত তার স্ত্রী ও সন্তানের সন্ধান পাওয়া যায়নি। বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ইসরাত জাহান বলেন ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের কথায় সন্তুষ্ট হয়ে কামালকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। আসামি কামাল হোসেন তার বড় ছেলে রাসেলের সাথে কথা বলে জানা গেল তার বাবা এ যাবৎ ১৩টির অধিক বিবাহ করেছে। বর্তমানে চারটি স্ত্রী আছে স্ত্রীদের ভরণপোষণ না দিয়ে এভাবে প্রতিবার বিবাহ করিতেছে। ছেলে রাসেল আরো বলেন আমি বাধা দেওয়ায় বহুবার মার খেতে হয়েছে। ছেলে রাসেলের কাছে তার বাবা কামাল এর শিক্ষাগত যোগ্যতা জিজ্ঞেস করা হলে জানা যায় তিনি কামাল চতুর্থ শ্রেণী পাশ। তিনি টাকা দিয়ে আর এম পি সার্টিফিকেট জোগাড় করে ডাক্তারী করছেন।এদিকে স্বামী খলিলুর রহমান বলেন আমার স্ত্রী ও ছেলে ফেরত চাই এবং কথিত চিকিৎসক কামাল কে আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।