4:41 pm , May 24, 2023
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ মৃত্যুর ৫২ বছর পর মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পেলেন বরিশালের বানারীপাড়ার কাজী মতিউর রহমান। গত ৫ জানুয়ারি ২০২৩ এ বাংলাদেশ গেজেট এর অতিরিক্ত সংখ্যার ৭ ক্রমিকে গেজেটে ৩৬৩৮ নম্বরে শহীদ কাজী মতিউর রহমান, পিতা মরহুম কাজী মোশাররফ হোসেন গ্রাম চৌয়ারীপাড়া, ডাকঘর সলিয়াবাকপুর, উপজেলা বানারীপাড়া জেলা বরিশাল উল্লেখ করে প্রকাশিত হয়েছে। এতে খুশী শহীদ পরিবারের সদস্য ও তার সহযোগী মুক্তিযোদ্ধারা।
দেশ বিজয়ের মাত্র ২০ দিন পূর্বে শত্রুদের বুলেটে নিভে যায় দেশ মাতৃকার বীর সেনানী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বানারীপাড়ার কাজী মতিয়ার রহমানের জীবন প্রদীপ। ১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর রাতে পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার ছারছিনায় আলবদরদের ঘাটিতে আক্রমন চালাতে গেলে শত্রুদের বুলেটে মৃত্যু ঘটে তার।
বরিশালের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতা এনায়েত হোসেন চৌধুরী বলেন, একজন দুঃসাহসিক যোদ্ধা ছিলেন কাজী মতিউর রহমান। আমরা তাকে মতি কাজী বলে ডাকতাম। তিনি তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন এবং চাখারে এ কে ফজলুল হক কলেজের ভিপি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফেরার পথেই তিনি তৎকালীন মাগুরা বর্তমান ছারছীনায় রাজাকারের গুলিতে শহীদ হন। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম শহীদ তালিকায় যুক্ত হয়। এই যে বিলম্ব এটা বড়ই লজ্জার। এভাবেই সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলিত থেকে গেছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। খুঁজলে হয়তো আরো কয়েকশত নাম এভাবে উঠে আসবে বলে জানান এই মুক্তিযোদ্ধা।
এসময় বরিশালের মুক্তিযুদ্ধের আরেকজন গর্বিত অহংকার বীর মুক্তিযোদ্ধা বীরপ্রতীক কেএসএম মহিউদ্দিন মানিক বলেন, কাজী মতিউর রহমান মুক্তিবাহিনী গঠনের আগেই মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ছাত্রনেতা ছিলেন ও বঙ্গবন্ধুর খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আজ পর্যন্ত তার লাশটি পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার তা উদ্ধারের জন্য কোনো চেষ্টাও করেনি যা সত্যি দুঃখজনক। তারচেয়েও দুঃখজনক স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে তাঁর নাম গেজেট ভুক্ত হওয়াটা।
বীরপ্রতীক আরো বলেন, সরকার চাইলে এবং অনুসন্ধান চালালে আজো হয়ত তার কঙ্কাল ছারছীনা থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, শহীদ কাজী মতিউর রহমান দৈনিক আজকের পরিবর্তন ও কীর্তনখোলার প্রকাশক-সম্পাদক কাজী মিরাজ মাহমুদের ছোট মামা।