4:38 pm , May 24, 2023
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের আমলনামা
সাইদ মেমন ॥ বরিশাল সিটির ৩০ টি ওয়ার্ডে সাধারন কাউন্সিলর পদের সিংহভাগ প্রার্থী বিভিন্ন মামলার আসামী। প্রার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগ ঠিকাদারী ও ব্যবসার সাথে জড়িত। রয়েছে মাছ চাষী, কৃষক, প্রবাসী, শিক্ষক, যাত্রা শিল্পী, দলিল লেখক ও জমি ক্রয়-বিক্রয়কারী।
সিটি নির্বাচনের সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ও মিডিয়া সেলের দায়িত্বরত মো. মনিরুজ্জামান বলেন, নগরীর ৩০ টি ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১৪৬ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ১৪ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়। এছাড়াও এখন পর্যন্ত ৭ জন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন।
১৩৩ জনের মধ্যে ৯৮ জন প্রার্থী রয়েছেন বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জাড়িত। এছাড়া পেশায় ৫ জন আইনজীবী, ৪ জন বেসরকারি চাকুরীজীবি, ৪ জন শিক্ষক, ৪ জন কৃষি ও মৎস খামারি, ৩ জন কৃষিজীবী, ৩ জন বাড়ি ও দোকানঘর মালিক, ৩ জন কাউন্সিলর, ১ জন সাংবাদিক, ১ জন গৃহিনী, ১ জন খামারী, ১ জন দলিল লেখক, ১ জন প্রবাসী, ১ জন ইলেকট্রিশিয়ান, ১ জন রাজনীতিবিদ, ১ জন ইমারত শ্রমিক রয়েছেন। আর একজন হলফনামায় তার তথ্যে পেশার স্থলে প্রযোজ্য নয় বলে উল্লেখ করেছেন।
শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে সবথেকে বেশি ৩৪ জন রয়েছেন এইচএসসি পাশ রয়েছেন। এছাড়া ২৪ জন প্রার্থী এসএসসি ও ২ জন দাখিল পাশ, স্নাতক সম্পন্ন করেছেন ২১ জন, স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী রয়েছেন ১৬ জন। এরবাহিরে বিএ ও এমএ- এলএলবি সম্পন্ন করেছেন ৯ জন প্রার্থী। এরবাহিরে এসএসসি অকৃতকার্য রয়েছেন ১ জন প্রার্থী, অষ্টম শ্রেনী পাশ রয়েছেন ১৬ জন প্রার্থী, পঞ্চম শ্রেনী পাশ রয়েছেন ১ জন এবং স্ব-শিক্ষিত রয়েছেন ৮ জন প্রার্থী। মনোনয়ন পত্রের সাথে জমা দেয়া হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে দেয়া হয়েছে।
সেখান থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রয়েছেন ৪ জন। তারা হলেন সাবেক কাউন্সিলর আউয়াল মোল্লা, বর্তমান কাউন্সিলর আমির বিশ^াস, জিহাদুল ইসলাম জিহাদ ও সৈয়দ সাইদুল ইসলাম মামুন। এর মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. মজিবর রহমানের শ্যালক সৈয়দ সাইদুল ইসলাম মামুন বুধবার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন। এখন এ ওয়ার্ডে প্রার্থী সংখ্যা তিনজন। তাদের মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর আমির হোসেন বিশ^াস এইচএসসি পাশ। তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। ঠিকাদারী ব্যবসায়ী আমির বিশ^াস। সাবেক কাউন্সিলর আউয়াল মোল্লা অষ্টম শ্রেনী পাস। দুইটি বিচারাধীন মামলার আসামী আউয়াল মোল্লার আরো একটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। আউয়াল মোল্লা পেশায় কৃষক। এ ওয়ার্ডের অপর প্রার্থী জিহাদুল ইসলাম পেশায় কৃষি কাজ করেন। এইচএসসি পাশ জেহাদ একটি মামলায় অব্যাহতি পেয়েছেন। নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন ৫ জন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর এ্যাড. একেএম মুরতজা আবেদিনসহ তার স্ত্রী নাছিমা নাজনীন ও ছেলে এসএম মাকীন আবেদীন রয়েছেন প্রার্থী তালিকায়। অপর দুই প্রার্থী হলেন মো. রাহাত খান ও মো. আহসান উল্লাহ। এ ওয়ার্ড থেকে চারবারের কাউন্সিলর এ্যাড. একেএম মুরতজা আবেদীন তিনটি মামলার আসামী এ প্রার্থীর পেশা আইন। তার স্ত্রী বিএবিএড ও ছেলে মাকিন বিবিএ করেছেন। তাদের নামে কোন মামলা নেই। অপর প্রার্থী রাহাত খান দাখিল পাশ করেছেন। পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তিনি। মো আহসান উল্ল্যাহ বিএসএস পাশ করেছেন। ঔষধ ব্যবসায়ী ও পল্লী চিকিৎসক আহসান উল্ল্যাহ একটি মামলায় খালাস। এ ওয়ার্ডের অপর তিন প্রার্থী, ছাত্রলীগের মহানগরের সাবেক আহবায়ক রইজ আহম্মেদ মান্না, মুন্না হাওলাদার ও ইমরান হোসেন সজিবের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে। নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী তিনজন। এর মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান অনিক এইচএসসি পাশ। মাদক আইনের একটি মামলায় খালাস পাওয়া অনিক পেশায় মাছ চাষী। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও পশুপালন করা প্রার্থী সালমা আক্তার, এমএ এলএলবি পাশ করেছেন। বর্তমান কাউন্সিলর সৈয়দ হাবিবুর রহমান ফারুক অষ্টম শ্রেনী পাশ। কৃষি ও মৎস্য চাষী এ কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীও চারজন। এর মধ্যে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শামসুদ্দোহা ¯œাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। দুইটি মামলার আসামী এ ছাত্র নেতা ঠিকাদারী ব্যবসায় জড়িত। অপর প্রার্থী ইউনুস মিঞা ঠিকাদার। অষ্টম শ্রেনী পাশ এ প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। আরিফুল আলম স¤্রাট এইচএসসি পাশ। প্রিন্টিং ব্যবসায়ী এ প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। বর্তমান কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম এইচএসসি পাশ। ঠিকাদার এ প্রার্থী একটি মামলায় খালাস পেয়েছেন। নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী ৪ জন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি মাষ্টার্স পাশ।
সমাজসেবা পেশা উল্লেখ করা এ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রয়েছে। এ ওয়ার্ডের অপর প্রার্থী মো. হোসেন সিকদার এসএসসি পাশ। মোবাইল কেয়ার, সার্ভিসিং সেন্টার ব্যবসায়ী এ প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা নেই। তিনটি মামলার আসামী শেখ আনোয়ার হোসেন ছালেক ৫ম শ্রেনী পাশ। পেশায় তিনি লৌহ ব্যবসায়ী। এইচএসসি মাইনুল হকের পেশা ব্যবসা। তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন। সাবেক কাউন্সিলর এমডি হাবিবুর রহমান বিএসসি পাশ। ঠিকাদারী ও ব্যবসায়ী এ প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা ৬টি। বর্তমান কাউন্সিলর খান মোহাম্মদ জামাল হোসেন এইচএসসি পাশ। দুইটি মামলার আসামী এ প্রার্থীর পেশা মৎস্য আড়তদার। দুইটি মামলার আসামী হলেন মো. আ. ছালাম খান এসএসসি পাশ। বেসরকারী চাকুরি করেন তিনি। অপর প্রার্থী মো. সোহেল সিকদার এইচএসসি পাশ করেছেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। একটি মামলার আসামী আকতার উজ জামান এইচএসসি পাশ। পেশায় তিনিও ব্যবসায়ী। নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী দুইজন। এর মধ্যে অরুন কুমার দাস এমএসএস পাশ করে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। বর্তমান কাউন্সিলর সেলিম হাওলাদার এসএসসি অকৃতকার্য। দুইটি মামলা চলমান প্রার্থী ব্যবসায়ী। নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী ৩ জন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর মা. হারুন অর রশিদ অষ্টম শ্রেনী পাশ। পেশায় ব্যবসা এ প্রার্থীর বিরুদ্ধে হওয়া ৬ মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। তিনটি মামলায় খালাস পেয়েছেন এসএসসি পাশ করা এসএম মোস্তাফিজুর রহমান। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। অপর প্রার্থী সৈয়দ হুমায়নর কবির লিংকু বিএ পাশ। ব্যবসায়ী এ প্রার্থীর বিরুদ্ধে করা একটি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী দুই জন। তাদের মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর এটিএম শহীদুল্লাহ কবির এইচএসসি পাশ। ঠিকাদার এ প্রার্থী তিনটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। অপর প্রার্থী মো. জয়নাল আবেদীন হাওলাদার অষ্টম শ্রেনী পাশ। চারটি মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া এ প্রার্থী ব্যবসায়ী। নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী ৪ জন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর মজিবর রহমান অষ্টম শ্রেনী পাশ। চারটি মামলায় খালাস এ প্রার্থীর রয়েছে ঠিকাদারী ও ঔষধ ব্যবসা। এ ওয়ার্ডের অপর প্রার্থী জিয়াউর রহমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিএ পাশ করেছেন। অষ্টম শ্রেনী পাশ শওকত হোসেন মন্টা এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ী। এসএসসি করা মারুফ আহম্মেদ ব্যবসায়ী। নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছেন তিনজন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর মো. জাকির হোসেন এইচএসসি পাশ। ঠিকাদার এ প্রার্থীর একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। অপর প্রার্থী তালুকদার মো. মোর্শেদ আলম বিএ ও ব্যবসায়ী। ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন রয়েল এসএসসি পাশ করেছেন। নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছেন চারজন। বর্তমান কাউন্সিলর মেহেদি পারভেজ খান এইচএসসি পাশ ও পেশায় মৎস্য চাষী। সাবেক কাউন্সিলর মীর আলফাজউদ্দিীন জসিম বিএ পাশ করেছেন। পেশায় ঠিকাদার এ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলা ৫টি। এইচএসসি মেজবাউল মোর্শেদ খান ব্যবসায়ী এবং মেহেদি হাসান এইচএসসি।
নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী ৫ জন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর তৌহিদুর রহমান ছাবিদ এইচএসসি পাশ। পেশায় জনপ্রতিনিধি এ প্রার্থী একটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। সাবেক কাউন্সিলর এ্যাড. সালাউদ্দিন মাসুম এমএসএস এলএলবি পাশ। পাঁচটি মামলা থেকে অব্যাহতি দুইটি চলমান মামলার আসামী এ প্রার্থীর পেশা আইন ব্যবসা। ৫টি মামলায় খালাস পাওয়া ঠিকাদার পেশার শাকিল হোসেন পলাশ এসএসসি পাশ করেছেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রিয়াদ হোসেন খান বিএসএস করেছেন। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করা তাজউদ্দিন তুহিন অষ্টম শ্রেনী পাশ। নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৭ জন। এর মধ্যে মাহমুদ আলম এইচএসসি পাশ। ৫টি মামলা থেকে খালাস পাওয়া এ প্রার্থীর পেশা ঠিকাদারী। ব্যবসায়ী সামজিদুল কবির করেছেন এইচএসসি পাশ। মোয়াজ্জেম হোসেন এমএসসি পাশ করেছেন। পেশায় মৎস্য চাষী এ প্রার্থী তিনটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায় নকীবুর রহমান এসএসসি পাশ করেছেন। স্ব-শিক্ষিত আব্দুল কাদের শামীম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা বিচারাধীন রয়েছেন। দাখিল পাশ করা ছিদ্দিকুর রহমান, একটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। এলএলবি পাশ করেও ব্যবসায়ী মাকসুদ আলম। নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী ৭ জন। এর মধ্যে সাবেক কাউন্সিলর রুবিনা বেগম অষ্টম শ্রেনী পাশ। পেশায় গৃহিনী এ নারীর ছেলে আল জায়েদ খানও প্রার্থী হয়েছেন। তবে তার হলফনামা পাওয়া যায়নি। হোসনে মোবারক এসএসসি পাশ ও ঠিকাদারী ব্যবসায় জড়িত। দুইটি মামলা থেকে খালাস পাওয়া আসম রাফি জুয়েল ¯œাতক পাশ ও পেশায় ব্যবসায়ী। ১১টি মামলা থেকে খালাস ও দুইটি মামলা চলমান রয়েছে প্রার্থী শাহিন সিকদারের বিরুদ্ধে। তিনি এসএসসি পাশ ও পেশায় ঠিকাদার। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মেহেদি হাসান এইচএসসি পাশ। বর্তমান কাউন্সিলর রাজিব হোসেন খান বিএ পাশ করেছেন। পেশায় ঠিকাদার এ প্রার্থী দুইটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৮ জন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর আকতার উজ জামান গাজী হিরু এইচএসসি পাশ। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা চলমান রয়েছে। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। পত্রিকার ষ্টাফ সালাউদ্দিন সিকদার অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন। এমবিএ পাশ করা আদনান হোসেন পেশায় ঠিকাদার। অষ্টম শ্রেনী পাশ করা ওবায়েদ চেীধুরী পেশায় মুদী দোকানী। তিনি একটি মামলায় খালাস পেয়েছেন। কাজী রোকন উদ্দিন এসএসসি পাশ। তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। নুরুল ইসলাম স¤্রাট এইচএসসি পাশ। পেশায় তিনি ইলেকট্রেশিয়ান। এমবিএ পাশ করা তামিম হাসান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও সাইদ মাহমুদ এইচএসসি ও তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী। নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী ৬ জন। এর মধ্যে জিয়াউল হক এসএসসি পাশ ও পেশায় ঠিকাদার। মনিরুল ইসলাম এসএসসি পাশ ও পেশা উল্লেখ করেননি। সহকারী অধ্যাপক পদে চাকুরি করা প্রার্থী কাজী মোহাম্মদ শাহীন এমকম সম্পন্ন করেছেন। বিএ পাশ করা প্রার্থী শেখ আরাফাত জামান ব্যবসায়ী। চারটি মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া জাবের আব্দুল্লাহ সাদী এসএসসি পাশ এবং পেশায় তিনি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সুভাশিষ দাস এইচএসসি পাশ ও ব্যবসায়ী। নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী ৬ জন। বর্তমান কাউন্সিলর গাজী নইমুল হোসেন লিটু, বিএ, বিএড শেষ করে শিক্ষাগতা করেন। তিনি একটি মামলায় অব্যাহতি পেয়েছেন। স্ব-শিক্ষিত শেখ ফেরদৌস ইসলাম দুলাল ব্যবসায়ী। বিএ এলএলবি করা শাহ মো. আমিনুল ইসলাম দুইটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। তিনি আইন ব্যবসায় জড়িত। এসএসসি পাশ করা জহিরুল সুনাম পেশায় ঠিকাদার। মৎস্য চাষী মেহেদি হাসান শরীফ উদ্দিন আহম্মেদ মজুমদার এইচএসসি পাশ। অষ্টম শ্রেনী পাশ করা হানিফ চৌধুরী যাত্রা শিল্পী। নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী তিনজন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান এমএ এলএলবি পাশ করেছেন। একটি মামলায় খালাস পাওয়া এ প্রার্থী পেশায় ঠিকাদার। তিনটি মামলায় অব্যাহতি পাওয়া ওবায়দুল হক বিএসএস পাশ করেছেন। পেশায় তিনি উল্লেখ করেছেন সমাজসেবা ও ব্যবসা। সরদার সফিকুল হক এমএ এলএলবি পাশ ও পেশায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী। নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ৫ জন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর শেখ সাইদ আহম্মেদ এইচএসসি পাশ। তিনটি মামলায় অব্যাহতি পাওয়া এ প্রার্থী পেশা উল্লেখ করেনি। বিকম অনার্স পাশ করা আবু মোহাম্মদ মুসা ব্যবসায়ী, মুহা. শাহরিয়ার সাচিব এইচএসসি পাশ করেছেন। পেশায় জমি ক্রয়-বিক্রয় করা এ প্রার্থীর তিনটি মামলা চলমান রয়েছে। চারটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।
এইচএসসি পাশ করা তারিকুল ইসলাম ঠিকাদারী এবং বিএসএস পাশ করা ওয়াহিদুর রহমান সবুজ ব্যবসায়ী। নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের এমএসএস পাশ করা জেসমিন সামাদ শিল্পি ব্যবসায়ী। মাছ চাষী ইউসুফ আলী হাওলাদার করেছেন বিএ পাশ। স্ব-শিক্ষিত আশ্রাফ খান ইমারত নির্মান শ্রমিক।বর্তমান কাউন্সিলর আনিচুর রহমান দুলাল এইচএসসি ও ব্যবসায়ী। মোহিন হাওলাদার এইচএসসি পাশ ও ব্যবসায়ী। নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার ১৫টি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। এইচএসসি পাশ করা এ প্রার্থীর পেশা ব্যবসা। বিএ এলএলবি পাশ করা সাবেক কাউন্সিলর রাউফুর আলম পেশায় ব্যবসায়ী। একটি মামলা থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়েছে। শাহীন খান আজাদ এইচএসসি পাশ করা এ প্রার্থী প্রবাসী। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা চলমান রয়েছে।
স্কুল শিক্ষক মিজানুর রহমান এমকম করেছেন। তিনি ৬টি মামলার আসামী। এর মধ্যে তিনটি খালাস, দুইটিতে জামিন ও একটি স্থগিত। নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ৬ জন। এর মধ্যে শরীফ আনিসুর রহমান এলএলবি অনার্স করেছেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। সাবেক কাউন্সিলর ফিরোজ আহম্মেদ অষ্টম শ্রেনী পাশ। তিনটি মামলায় অব্যাহতি, চারটি চলমান রয়েছে। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। অপর প্রার্থী কাওসার হোসেন শিপন তার আপন ছোট ভাই। স্ব-শিক্ষিত এ প্রার্থীর রয়েছে বাসের ব্যবসা। একটি মামলা থেকে সে খালাস পেয়েছেন। সাফিন মাহমুদ তারেক স্ব শিক্ষিত ও পেশায় ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছেন। ফলের ব্যবসায়ী প্রার্থী মনির হোসেন গাজী এসএসসি পাশ করেছেন। অষ্টম শ্রেনী পাশ করেছেন শহিদুল আলম। নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সুলতান মাহমুদ এইচএসসি পাশ করেছেন। তিনি ১০টি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। বর্তমান কাউন্সিলর এম সাইদুর রহমান জাকির এইচএসসি পাশ করেছেন। পেশায় ঠিকাদার এ প্রার্থীর বিরুদ্ধে একটি মামলা তদন্তনাধীন রয়েছে। আল- আমিন মৃধা এসএসসি পাশ ও ঠিকাদার। একটি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বর্তমা কাউন্সিলর হুমায়ন কবির বিএ পাশ। তিনি ব্যবসায়ী ও তার বিরুদ্ধে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছেন। মাধ্যমিক পাশ করা প্রার্থী শফিকুল ইসলাম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। অষ্টম শ্রেনী পাশ করা শাহীন হাওলাদার ঠিকাদার। সরদার মো. হারুন অর রশিদ এসএসসি পাশ করে দলিল লেখক পেশায় রয়েছেন।
খামারী ফরিদউদ্দিন হাওলাদার এসএসসি পাশ করেছেন। তিনি একটি মামলায় খালাস, একটি বিচারাধীন রয়েছে। নগরীর ২৭নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হাসান ইমাম মিন্টু এইচএসসি পাশ। পেশা উল্লেখ করেননি। মনিরুজ্জামান তালুকদার এসএসসি পাশ। একটি মামলায় খালাস, দুইটি বিচারাধীন মামলার আসামী এ প্রার্থী জুয়েলার্স ব্যবসায়ী। জমি-ক্রয় বিক্রয় প্রার্থী আব্দুল আলীম বাবুল এসএসসি পাশ। নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন এমকম পাশ করেছেন। পেশায় তিনি সমাজসেবক। হুমায়ন কবির এসএসসি পাশ ও ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। স্ব-শিক্ষিত হুমায়ন কবিরের রয়েছে গরুর ফার্ম। অষ্টম শ্রেনী পাশ শহীদুল ইসলাম ব্যবসায়ী। তিনটি মামলা চলমান রয়েছে। একটি থেকে খালাস হয়েছে। নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ফরিদ আহমেদ বিএ পাশ ও ব্যবসায়ী। স্ব-শিক্ষিত রেদওয়ান রানা ব্যবসায়ী। এসএসসি মিজানুর রহমান ঠিকাদারী ব্যবসায় জড়িত। মীর মাহাবুবুর রহমান এমকম করে লাইব্রেরী ব্যবসা করেন। একটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন তিনি। ইমরান মোল্লা এইচএসসি ও ব্যবসায়ী। সে একটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছে। নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আজাদ হোসেন কালাম মোল্লা এইচএসসি পাশ। পেশায় ব্যবসায়ী এ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দুইটি মামলা চলমান রয়েছে। তিনটিতে খালাস পেয়েছেন। জমি ক্রয় বিক্রয়ে জড়িত আব্দুল্লাহ আল মামুন এসএসসি পাশ করেছেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তারিকুল ইসলাম, মাষ্টার্স সম্পন্ন করেছেন। অষ্টম শ্রেনী পাশ জহিরুল হক লিপন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সাবেক কাউন্সিলর খায়রুল মামুনের হলফ নামা পাওয়া যায়নি।