সবচেয়ে ধনী খায়ের ! দ্বিতীয় অবস্থানে তাপস !! ফয়জুল-রুপন সমানে সমান!! সবচেয়ে ধনী খায়ের ! দ্বিতীয় অবস্থানে তাপস !! ফয়জুল-রুপন সমানে সমান!! - ajkerparibartan.com
সবচেয়ে ধনী খায়ের ! দ্বিতীয় অবস্থানে তাপস !! ফয়জুল-রুপন সমানে সমান!!

3:48 pm , May 21, 2023

হেলাল উদ্দিন ॥ বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগদ টাকা ও সম্পত্তিতে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র  প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৬ জন বৈধ প্রার্থীর মধ্যে তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সবার থেকে বেশী। এর পরেই রয়েছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। নগদ টাকার ক্ষেত্রে সমানে সমান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান রুপন।অপর ৩ প্রার্থীর স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৫০ লাখ টাকার নিচে। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া প্রার্থীদের হলফ নামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আবুল খায়ের আবদুল্লাহ : চলমান কোন ফৌজদারী মামলা নেই। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও এপার্টমেন্ট ভাড়া থেকে তার বাৎসরিক আয় সাড়ে ১০ লাখ টাকার উপরে। বাৎসরিক আয় একটু কম মনে হলেও অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে তার নিজের নগদ টাকাই রয়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ ৮৩ হাজার ৮৭২ টাকা এবং স্ত্রীর রয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ব্যাংকে জমা রয়েছে নিজের নামে পৌনে ৩ লাখ এবং স্ত্রীর নামে রয়েছে মাত্র ১২ হাজার টাকা। রয়েছে নিজের ও স্ত্রীর নামে পৃথক ২টি গাড়ি। নিজের গাড়ীর মূল্য ৩২ লাখ এবং স্ত্রীর গাড়ির মূল্য ৪৯ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে ২০ ভরি স্বর্ণের পাশাপাশি নিজেরও রয়েছে ১০ ভরি স্বর্ণ। যদিও এসব স্বর্ণ উভয়েই উপহার হিসাবে পেয়েছেন। রয়েছে লাইসেন্সধারী একটি পিস্তল ও একটি শর্টগান। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে খুলনায় ৪ তলা একটি ভবন,ধানমন্ডিতে একটি ও উত্তরায় ৬ টি এপার্টমেন্ট। ১৯৫৭ সালে জন্ম নেওয়া ৬৬ বছর বয়সী এই প্রার্থীর কোন দেনা নেই। হলফ নামায় তিনি নিজেকে স্ব-শিক্ষিত বলে উল্লেখ করেছেন।
ইকবাল হোসেন তাপস : বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত এই প্রার্থীর নামে ফৌজদারী মামলা রয়েছে ২ টি। তবে উভয় মামলা সুপ্রিম কোর্টের আদেশে স্থগিত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে দেওয়ানী মামলাও । একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক এবং ৩ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শেয়ার রয়েছে তার। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি বাৎসরিক সম্মানী পান ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক পদে থেকে তিনি বাৎসরিক বেতন ভাতা পান প্রায় ৭৭ লাখ টাকা। নগদ টাকা আছে এই প্রার্থীর ২ কোটি ২৯ লাখ। নিজের ও স্ত্রীর মিলিয়ে ব্যাংকে জমা আছে সাড়ে ১৬ লাখ টাকা। একটি ডায়গনস্টিক সেন্টার, একটি  বেসরকারী মেডিকেল কলেজসহ ৩ টি প্রতিষ্ঠানে শেয়ার বাবদ প্রায় ১ কোটি টাকার অস্থাবর  সম্পত্তি আছে জাতীয় পার্টির এই নেতার। এছাড়া ৩৮ লাখ টাকার একটি গাড়ি, রয়েছে ৬০ তোলা স্বর্ণ। এছাড়া  দামী আসবাপত্র ও দামী দামী ইলেক্ট্র নিক্স  জিনিসপত্র আছে তাপসের। তার স্থাবর সস্পত্তির মধ্যে রয়েছে সামান্য কৃষি জমি,৫ তলা ভবনের ফরায়েজের কিছু অংশ।ব্যাংকে ঋন রয়েছে মাত্র ১৪ লাখ টাকার।শিক্ষাগত যোগ্যতা  বিএসসি।
মুফতি সৈয়দ মোঃ ফয়জুল করিম : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মনোনীত প্রার্থীর পেশা শিক্ষকতা।  এর পাশাপাশি রয়েছে এপার্টমেন্ট ও ব্যবসা। এই ৩টি খাত থেকে তার বাৎসরিক আয় প্রায় ১৫ লাখ টাকা।
৪ টি ফৌজদারী মামলা থাকলেও তা নিষ্পত্তি হয়েছে। ব্যাংকে মাত্র লাখ টাকা জমা থাকলেও এই প্রার্থীর নগদ টাকা রয়েছে ৪৩ লাখ। সকল প্রার্থীর চেয়ে বেশী জমি জমার মালিক এই প্রার্থী। নিজের নামে জমি রয়েছে প্রায় ১৪ একর। এর মধ্যে ৮ একরের বেশী কৃষি জমি এবং বাকিটা অকৃষি জমি। দালান  রয়েছে একটি ও এপার্টমেন্ট রয়েছে দুটি।
কামরুল আহসান রুপন : প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত এই প্রার্থীর (এমএসএস) আয়ের এক মাত্র উৎস মৎস, পশু ও কৃষি খামার। বছরে তার আয় ৪ লাখের কিছু বেশী থাকলেও প্রায় ৩০ লাখ টাকার গাড়িতে চড়েন তিনি। নগদ রয়েছে ৪৩ লাখ টাকা।
একটি কোম্পানীতে তিনি এক কোটি টাকার শেয়ারের মালিক রয়েছেন।  সব মিলিয়ে তার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকার। এছাড়া ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে ৭ লাখ টাকা এবং মৃত বাবাকে ঋন প্রদান হিসাবে দেখিয়েছেন ৫০ লাখ টাকা। স্থাবর সম্পত্তি হিসাবে রয়েছে কিছু কৃষি ও অকৃষি জমি। কোন মামলা নেই এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এছাড়া মা ও বোনের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা ঋন নিয়েছেন তিনি।
অন্য দুই প্রার্থী আলী হোসেন হাওলাদার এবং জাকের পার্টির মিজানুর রহমানের রয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ব্যবসা ও ভাড়াই তাদের আয়ের উৎস। আলী হোসেন’র নগদ টাকার পরিমান ৫০ হাজার টাকা থাকলেও নগদ টাকার পরিমান শূন্য উল্লেখ করেছেন মিজানুর রহমান।
উল্লেখ্য বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১০ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন। এরমধ্যে ৬ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। বাকী চারজনের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে বিভিন্ন ত্রুটি থাকার কারণে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT