4:00 pm , May 18, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ গাজীপুর সিটি নির্বাচনে কেন্দ্রের নির্দেশ উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় আজীবন বহিষ্কারের আদেশের প্রভাব পড়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে। প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই গতকাল বৃহস্পতিবার পদধারীরা প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষনা দিয়েছেন। এ জন্য ভোটারদের উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তবে এ ক্ষেত্রে পদবী না থাকারা নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের বিরুদ্ধেও একই শাস্তির বিধান থাকায় তারা পড়েছেন অশ্বস্তিতে।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষনাকে স্বাগত জানিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া নেতা-কর্মীদেরও সরে আসার আহবান জানিয়ে প্রেসবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বরিশাল মহানগর বিএনপি।
প্রত্যাহারের ঘোষনা দেয়া বিএনপির নেতৃবৃন্দ হচ্ছেন : ১৯নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শাহ আমিনুল ইসলাম আমিন, ২২নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া মহানগর বিএনপির ১নং সদস্য আ.ন.ম. সাইফুল আহসান আজিম, ২২নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ। হাবিবুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘বিসিসি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য আমি মনোনয়নপত্র দাখিল করি। কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সিদ্ধান্তের ঘোষণা আসে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার জন্য। যেহেতু আমি জাতীয়তাবাদী যুবদলের একজন পদনির্ভর কর্মী তাই দলের আদেশ অমান্য করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা আমার পক্ষে একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের সামিল। তাই ওয়ার্ডবাসীর কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতার সহিত অত্যান্ত ভারাক্রান্ত হৃদয় আমি দলের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওয়ার্ডবাসীর কাছে আগামী দিনগুলোতে একজন ব্যক্তি হাবিবুল্লাহ হিসেবে পাশে থাকার অঙ্গীকার করলাম। পাশাপাশি ২২নং ওয়ার্ডের সকল স্তরের জনগণের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। অতীতে আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ।
৫নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া মাইনুল হক বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বিষয়টি আগেভাগে জানালে মনোনয়নপত্র জমাদানের জন্য পরিশ্রম এবং টাকা খরচ করতাম না। তবে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মানতে হবে। মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ আলোচনা করে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।
৬নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমাদানকারী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সাবেক কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান টিপু বলেন, ওয়ার্ডবাসী নির্বাচনে অংশ নিতে অনুরোধ করায় তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত ভাঙ্গতে বাধ্য হয়েছেন। নির্বাচন সম্পন্ন করেই ঘরে ফিরবেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব কাউন্সিলর মীর জাহিদুল করিম জাহিদ বলেন, যারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ। আরা যারা এখনো মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি তাদেরকে দলের সিদ্ধান্ত মেনে প্রত্যাহারের অনুরোধ করছি। তানা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। একই সাথে ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে রাজপথে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, যারা নির্বাচনে অংশ নেবেন তারা বেঈমান। কারন তাদের পরিচিতি হয়েছে দলের জন্য। দলের জন্যই তারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে সম্মান, মর্যাদা, অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গাজীপুরের নির্বাচনে অংশ নেয়াদের জন্য যে শাস্তি দেয়া হয়েছে বরিশালেও একই শাস্তি দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ৮৬এর বেঈমান, ওয়ান ইলেভেনের বেঈমানদের মাফ করা হলেও এবার নির্বাচনে অংশ নেয়াদের ক্ষমা নেই।