4:22 pm , May 16, 2023
বাউফল প্রতিবেদক ॥ বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নে স্বামীর কয়েক লাখ টাকা নিয়ে দুই শিশু সন্তানকে রেখে স্ত্রী রাবেয়া বেগম লাপাত্তা হয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের কালাইয়া গ্রামের কমলার দীঘির দক্ষিণ পাড়ে। এতে দিশেহারা হয়ে স্বামী মো. মুজিবুর রহমান সরদার দুই শিশু বাচ্চাকে নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। স্ত্রী রাবেয়া বেগম (২৫) কালাইয়া বাজারের আব্দুর রাজ্জাক প্যাদার মেয়ে। মুজিবুর রহমান সরদার লিখিত অভিযোগ দিয়ে বলেন, ৬/৭ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় তাদের। তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে শিশু সন্তান রয়েছে। শ্বশুর প্যাদা রোডে করতে ৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা ঋন নিয়ে দেন। কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা উঠিয়ে কাজ করার জন্য ধার বাবদ নেয়। টাকা গুলো ধার নেয়ার ১৫/২০ দিন পর থেকে স্ত্রী রাবেয়া খারাপ আচরণ শুরু করে। এতে আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এদিকে আমার শ্বশুর শাশুড়ী এসে ওইদিনই অবুঝ দুই শিশু বাচ্চাকে রেখে তার মেয়েকে নিয়ে চলে যায়। এদিকে ৩/৪ দিন পর একতরফা একটি নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে তালাক নামা পাঠায়। সাথে সাথে তা চেয়ারম্যান কে জানালে সে তাদের আসার জন্য বলেন। কিন্তু চেয়ারম্যানের কাছে না গিয়ে তারা পালিয়ে ঢাকা চলে যায়। পরে চেয়ারম্যানের পরামর্শে মামলা করি। সেই খবর তারা একত্র হয়ে ঢাকা থেকে এসে আমার বাড়ি ঘরে ঢুকে মা, বাবা ও ছোট বোনের ওপর হামলা চালিয়ে লুট করে । সেজন্যও মামলা করি। কিন্তু এখন আমি আমার দুই শিশু বাচ্চা কে নিয়ে দিনরাত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তারা এখন প্রকাশ্যে ও গোপনে বিভিন্ন হুমকি ধামকি সহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে ও প্রাননাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে চলছে। আমি আমার টাকা ও স্ত্রীকে ফেরত সহ তাদের বিচার দাবি করছি। অভিযোগের ব্যাপারে মুজিবুরের শাশুড়ী ও তার মেয়েরা বলেন, এটা আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে এব্যাপারে জানতে স্ত্রী রাবেয়া বেগমের কাছে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করে বলেন, আমি ঢাকাতে থাকি। আমি তাকে তালাক দিয়েছি। আমরা কোনও টাকা পয়সা নেইনি বলে ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান এসএম ফয়সল আহমেদ মনির হোসেন মোল্লা বলেন, অভিযোগ পেয়ে মুজিবুর সরদারের স্ত্রী সহ তার মা-বাবা, ভাই বোনকে খবর দেই। খবর পেয়ে মা বোন আসলেও ওই স্ত্রী আসেননি। তবে তারা টাকা নিয়েছেন ধার বাবদ সেটা স্বীকার করেছে। পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।