3:59 pm , May 12, 2023

মো. পলাশ হাওলাদার, বাকেরগঞ্জ ॥ বাকেরগঞ্জ পৌর কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত জেএস ইউ হাইস্কুল নতুনভাবে সেজেছে। এখন হাইস্কুল মাঠে গেলে মনটা ভরে যায়। মনে হয় নতুন কোনো প্রকৃতিপ্রেমীর ছোঁয়া লেগেছে সেখানে। সব কিছুর মধ্যেই নতুনত্ব। স্কুলের মাঠে হাঁটার জন্য চারপাশে ঢালাই রাস্তা করে দিয়েছে পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া। এতদিন বাকেরগঞ্জে হাঁটা এবং ব্যায়াম করার জন্য নির্দিষ্ট কোন স্থান ছিল না। পৌরবাসীর জন্য এটি একটি আনন্দময় পরিবেশ। মাঠে সৌন্দর্য দৃষ্টি কেড়ে নেয় সবুজ ঘাসের প্রকৃতি। তেমনি গাছগাছালির দিকে তাকালে মনে হয় যেন চিরসবুজের বান লেগেছে। পুরো এলাকাই পরিষ্কার ঝকঝকে, তকতকে। হাইস্কুল মাঠে হাঁটতে গিয়ে এর নতুন রূপ চোখে পড়েছে। আসলে যেভাবে স্কুলের সৌন্দর্যের প্রতি এখন নজর দেয়া হয়েছে তা যে কারো চোখে পড়ার মতো।
সুস্থতার জন্য হাইস্কুল মাঠে হাঁটুন
সুস্থ শরীরের জন্য হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে করোনা মহামারীর অভিজ্ঞতায় শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো রাখা খুব প্রয়োজন। ফুসফুস ও হার্ট ভালো রাখা প্রয়োজন। এ জন্য প্রয়োজন হাঁটা, দৌড়ানো এবং মুক্ত বাতাস সেবন। অক্সিজেন গ্রহণ। বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা: রিয়াজ মৃধা বলেন, হাঁটা হলো সব ধরনের ব্যায়ামের মধ্যে সবচেয়ে উপকারী। স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সবারই হাঁটা প্রয়োজন। নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস রক্ত সঞ্চালন, ফুসফুস ও হৃৎপি-ের কার্যক্রম বাড়ায়। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়। একজন মানুষের ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন হাঁটা উচিত। যাদের হাঁটতে কষ্ট হয়, তারা বিরতি দিয়ে হাঁটতে পারেন।
তাই ঘরে বসে থেকে হাঁফিয়ে উঠবেন কেন? এখনই বাকেরগঞ্জ জে এস ইউ হাইস্কুল মাঠে গিয়ে একটু হেঁটে আসা উচিত। গাছগাছালি আর ফুল-পাখির সান্নিধ্য চান, বুকভরে বিশুদ্ধ বাতাস নিতে চান, নির্মল হাওয়ায় বেড়াতে চান-স্কুলের এই মাঠেই উপযুক্ত জায়গা। এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে নিরাপদ, অন্তত আমার মনে হয়েছে। ভোরে? সৃষ্টি হয় এক ভিন্নরূপ। শত শত পৌরবাসীকে কাকডাকা ভোরে প্রাতঃভ্রমণ করতে দেখা যায়।
স্কুলের মাঠটিতে সবার জন্য উন্মুক্ত রাখার কারনে বিশাল জায়গাজুড়ে এবং পরিকল্পিতভাবে তৈরির কারণে এখানে হাঁটাহাঁটি স্বাচ্ছন্দ্যের। কেউ একা একা হাঁটছেন, কেউবা স্বজনদের নিয়ে, আবার বিভিন্ন সঙ্ঘের হয়ে দলবদ্ধভাবেও হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়াম করতে দেখা যাচ্ছে। ফুটবল,ক্রিকেট,ভলিবল,ওঠা-বসা, উচ্চ লম্ফ, ঘাড়ের ব্যায়াম, বক্ষ প্রসারণ, জোরে শ্বাস নেয়া। কোথাও আবার দেখা যায় হা, হো, হি হি অট্টহাসি কিংবা ডাকাডাকি করতে। ডা: রিয়াজ মৃধা আরো বলেন, হাসাহাসি করলে ‘এন্ডোরফিনস’ নামের এক রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয়। এটি মেজাজ শান্ত রাখতে সহায়তা করে।
এখন নারীরাও এগিয়ে আসছেন এই দৃষ্টিনন্দন মাঠের পাশে হাঁটতে। অনেক স্বাস্থ্যসচেতন নারীকে হাঁটতে, দৌড়াতে এবং শরীরচর্চা করতে দেখা যায়। গাছগাছালি, ফুল-পাখি ও নানা সুযোগ-সুবিধায় হাঁটার মজাই আলাদা।