3:54 pm , May 12, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কীর্তনখোলা নদীতে তেলের ট্যাংকারের ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরনের পর নিখোঁজ একজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে কীর্তনখোলা নদীতে ভাসমান অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন। উদ্ধার হওয়া আবুল কাশেম (৫২) মেঘনা পেট্রোলিয়ামের তেলবাহী ট্যাংকার এমটি ইবাদী-১ এর পরিচ্ছন্নতা কর্মী। নগরীতে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ডিপোর জন্য জ্বালানী তেল নিয়ে আসা এমটি ইবাদি-১ ট্যাংকারের ইঞ্জিন রুমে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিস্ফোরন ঘটে। এ ঘটনার পর ইঞ্জিন রুম থেকে প্রধান চালক মো. কুতুবউদ্দিনে ছেলে স্বাধীন (২২) ও বাবুল কান্তি দাস (৬০) নামে দুই জনের লাশ উদ্ধার করে। এছাড়াও প্রধান চালক কুতুবউদ্দিন, দ্বিতীয় চালক রুবেল ও কামালকে ˜গ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তারা ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিসের একটি দল স্প্রীড বোট নিয়ে নদতে টহল দিচ্ছিলো। কীর্তনখোলা নদীতে থাকা ট্যাংকারের পূর্ব পাশে কাশেমের লাশ ভেসে উঠে। দেখতে পেয়ে লাশ উদ্ধার করে বরিশাল সদর নৌ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, মরদেহের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত রয়েছে এবং একটি হাত পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে বিস্ফোরনে আহত হয়ে সে নদীতে পড়ে যায়। সন্ধ্যা ৬ টায় তাদের অভিযানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়েছে জানিয়েছেন। বরিশাল সদর নৌ থানার ওসি আব্দুল জলিল বলেন, লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আত্মীয় স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে। তারা এলে পরবর্তি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওসি জলিল আরো জানান, বৃহস্পতিবার উদ্ধার করা দুই জনের লাশও মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।