4:03 pm , May 9, 2023

গৌরনদী প্রতিবেদক ॥ গৌরনদীতে স্বামীর পরকিয়া ও যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেলে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। গৃহবধুর ভাই দাবি করেছেন, বোনকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করা হয়েছে। গৃহবধু হলো লিপিকা রানী দাস (৩৬)। সে গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের হরহর গ্রামের গোপাল চন্দ্র দাসের কন্যা। দুই সন্তানের জননী লিপিকা একই ইউনিয়নের সিংগা গ্রামের বাসিন্দা আশিষ কুমার সোমের স্ত্রী।
লিপিকার ভাই পলাশ চন্দ্র দাস জানান, ১৩ বছর পূর্বে বোনের সাথে আশীষের বিয়ে হয়। মাদ্রাসার ক্রীড়া শিক্ষক আশিষ সোম একজন পোল্টি খামারী। সে পরকিয়ায় লিপ্ত রয়েছে।
পলাশের অভিযোগ খামার পরিচালনা করে উপার্জিত টাকা পরকিয়া প্রেমিকের জন্য ব্যয় করেন। এতে সে ৫ লাখ টাকা ঋনগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। ঋনের টাকা পরিশোধের জন্য বাবার কাছ থেকে এনে দিতে বোনকে চাপ দেয়। বোন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে ভগ্নিপতি আশীষ। সোমবার সকালে বোনকে মারধরের শব্দে ৬ষ্ট শ্রেনী পড়–য়া ভাগ্নের ঘুম ভেঙ্গেছে। বোনকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের কারনে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। আমরা আরো ধারনা করছি, মুখে বিষঢেলেও হত্যা করতে পারে।
এ ঘটনায় ভাই অনুপ চন্দ্র দাস বাদী হয়ে গৌরনদী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেখানে স্বামী আশীষ কুমার সোম, দুলাল চন্দ্র সোম, মৃনাল চন্দ্র সোম, পুতুল রানী পাল, পরকিয়া প্রেমিক সীমা রানী শীল ও দেবিকা দাসকে আসামী করেছেন।
সেখানে অভিযোগ আনা হয়েছে, অপমানজনক কথা বলে গালমন্দ করায় আসামীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় মুরগীর ফার্মের মধ্যে গিয়ে বিষপান করেছে। লিপিকা রানী দাস (৩৫) নামে এক গৃহবধু মরদেহ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে (লিপিকা) উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের সিংগা গ্রামের আশিষ ষোমের স্ত্রী। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে । গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তি ব্যবস্থা নেয়া হবে।