নতুন করে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ নতুন করে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ - ajkerparibartan.com
নতুন করে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ

4:35 pm , May 7, 2023

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ রমজানে শুরুতে এক দফা মূল্য বৃদ্ধির পরে ঈদ পরবর্তী নতুন করে ভোজ্যতেল, পেয়াজ, রসুন, আদা,গোল আলু, চিনি ও রান্নার গ্যাস সহ অত্যাবশ্যকীয় বিভিন্ন নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি দক্ষিণাঞ্চলের সাধারন মানুষের দূর্ভোগের সব সীমা ছাড়াচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমজনতার হতাশা ইতোমধ্যে ক্ষোভেও পরিনত হতে শুরু করেছে। তবে নতুন বোরো ধান উঠতে শুরু করায় চালের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল। কোন কোন চালের দাম কেজিতে ২ টাকা পর্যন্ত হ্রাস পেলেও অন্যসব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষের নাভিশ^াস উঠছে।  রমজান শুরুর আগে থেকে রোজার মাস জুড়ে গোল আলু, আদা, রসুন, ভোজ্য তেল,চিনি এবং পোলাওর চাল সহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও এখন সেখানে পেঁয়াজ সহ আরো বেশ কিছু পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নতুন রেকর্ড গড়েছে। এমনকি গোল আলু, রসুন ও আদার দাম অসহনীয় পর্যায়ে পৌছে গেছে। পেঁয়াজের দাম বিগত এক বছর পরে বরিশালের পাইকারী বাজারে পনের দিন আগের ৩০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা ছুঁয়েছে। রোববার দক্ষিণাঞ্চলের খুচরা বাজারে ৭০ টাকা কেজি দরেও পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে। পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রসুন ও আদার দামও। রোববার দেশী রসুন ১৪০ টাকা এবং আমদানীকৃত চীনা রসুনের কেজি ছিল আড়াইশ টাকা। আমদানীকৃত আদা সাম্প্রতিককালের সব রেকর্ড ভেঙে প্রায় ৪শ টাকায় উঠেছে। ভারতীয় আদার কেজিও ১৬০ টাকার উপরে। অপরদিকে রেকর্ড পরিমান উৎপাদন হলেও ফড়িয়ার দল কৃষকের কাছ থেকে বেশীরভাগ গোল আলু কিনে নেবার মাস খানেকের মাথায়ই ১৫ টাকার আলু পাইকারী পর্যায়ে ৩৫ টাকা এবং খুচরা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে সাধারন ও গরীব মানুষের স্বল্প দামের সবজির উৎসও প্রায় রুদ্ধ। একই সাথে দক্ষিণাঞ্চলের বাজারে এখন ৬০ টাকা কেজির নিচে কোন সবজি মিলছে না। ফলে সাধারন মানুষের দূর্ভোগ এখন সব বর্ণনার বাইরে। ডিম, দুধ ও মাছে উদ্বৃত্ব দক্ষিণাঞ্চলের সাধারন মানুষের কাছে এসব আমীষ জাতীয় খাবার ইতোমধ্যে সোনার হরিনে পরিনত হয়েছে। গত এক সপ্তাহে ডিমের দাম প্রতি হালিতে ১০ টাকা বেড়ে এখন ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিন লক্ষাধিক টন উদ্বৃত্ব দক্ষিণাঞ্চলে ৮শ টাকা কেজির নিচে কোন ছোট মাছও মিলছে না। ভাল মানের নির্ভেজাল দুধের লিটার ১শ টাকা। ব্রয়লার মুরগীর কেজি আবার ২শ টাকা অতিক্রম করেছে। এদিক চিনি, ভোজ্য তেল ও রান্নার গ্যাস নিয়েও অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে। নতুন করে আরেক দফা মূল্য বৃদ্ধির পরে বরিশালের বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রী হচ্ছে ১৪০ টাকায়। পল্লী অঞ্চলে তা আরো ৩-৫ টাকা বেশী। সয়াবিন তেলের লিটার  ২৩০ টাকা অতিক্রম করেছে। আর রান্নার গ্যাসের দাম গত তিন মাসে দু দফা কমে গত সপ্তাহে আবার বেড়ে এখন প্রায় ১৩শ টাকায় বিক্রী হচ্ছে। যা গত বছর এসমেয়ের চেয়ে প্রায় ৩শ টাকা বেশী। ঈদের পরে সাধারন মানুষের হাতে নগদ টাকার টানাটানির মধ্যে প্রায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের এ মূল্য বৃদ্ধি সাধারন মানুষের কষ্টের সব সীমা ছাড়াচ্ছে। রোবববার বিষয়টি নিয়ে বরিশাল মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে সাধারন মানুষের সাথে কথা বললে ক্ষোভেরই বহিঃ প্রকাশ মিলেছে। নগরীর বটতলা বাজার, নতুন বাজার, বড় বাজার, বাংলা বাজার ও নবগ্রাম-চৌমহনী বাজারে ভোক্তাদের সাথে কথা বললে প্রায় সকলেই তাদের দূর্ভোগের কথাও জানিয়েছেন। কোন অবস্থাতেই সংসার আর চলছে না বলেও জানান অনেকেই। অনেক পারিবার মাছ ও গোসত খাবার কথা ভুলতে বসেছে বলেও জানান।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT