3:36 pm , May 4, 2023
কর্ণফুলী-১১ লঞ্চ কর্তৃপক্ষের উদারতা
পরিবর্তন ডেস্ক ॥ ঢাকা থেকে বাবার লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে যাবেন ছেলে। দ্রুত লঞ্চ ধরার জন্য বরফ, কফিন কিছুই ব্যবস্থা করতে পারেননি তিনি। শুধু সাদা কাপড় পেঁচিয়ে লাশ নিয়ে লঞ্চে ওঠেন।কিন্তু লাশটি লঞ্চের নিচতলায় রেখে চিন্তায় পড়ে যান স্বজনরা।এভাবে সকাল পর্যন্ত কীভাবে রাখবেন? ঠিক এমন সময় কর্ণফুলী-১১ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসেন। তারা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে লাশটি লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় ভিআইপি এসি কেবিনে রেখে তাদের নিশ্চিন্তে যাত্রার ব্যবস্থা করে দেন। লঞ্চ কর্তৃপক্ষের এমন উদারতা দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে যান মরহুমের স্বজনরা। এ ঘটনাকে মানবিকতার দৃষ্টান্ত বলছেন যাত্রীরা।মঙ্গলবার (২ মে) রাতে ঢাকা টু ভোলার কর্ণফুলী-১১ লঞ্চে এই ঘটনা ঘটে।মরহুমের ছেলে মনির বলেন, আমার বাবা ঢাকা নিউরো সাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।চরফ্যাশনে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য লঞ্চ পাব না তাই কফিন ও বরফ ছাড়াই মরদেহ নিয়ে তড়িঘড়ি করে উঠে পড়ি।লঞ্চে আমার বাবার লাশকে এত সম্মান দিয়ে ভিআইপি এসি কেবিনে রাখা হবে, আমরা কখনো ভাবতে পারিনি।আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে লঞ্চ স্টাফদের কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।সেই লঞ্চের যাত্রী সাইফুল বলেন, কর্ণফুলী-১১ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ একজন সাধারণ ব্যক্তির লাশকে যে সম্মান দেখাল তা থেকে সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত। আমরা চাই এমন মানবিকতা সব লঞ্চ কর্তৃপক্ষ অনুকরণ করুক।কর্ণফুলী-১১ লঞ্চের কেবিন ইনচার্জ জাফর আহমেদ বলেন, রাত ১০টায় লঞ্চ ছাড়ার ৫ মিনিট আগে লাশটি নিয়ে লঞ্চে ওঠে স্বজনরা।আমরা দেখলাম মরদেহের জন্য কফিন বরফ কিছুই ছিল না।এই জন্য মরদেহের যাতে কোনো সমস্যা না হয় আমাদের ভিআইপি ডিলাক্স এসি কেবিনে তাদের থাকার ব্যবস্থা করি।পরে সকালে লঞ্চটি চরফ্যাশন ঘাটে পৌঁছালে তারা মরদেহটি অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে নিয়ে যায়।এ ব্যাপারে কর্ণফুলী লঞ্চের পরিচালক মো. সালাউদ্দিন জানান, খবরটি যখন আমাদের জানানো হয় আমরা লঞ্চ স্টাফদের সুন্দরভাবে ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেই।সকল যাত্রীদের বিপদে আমরা পাশে আছি।ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাবো।