3:32 pm , April 30, 2023
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর শেবাচিম হাসপাতালের বিপরীতে আবাসিক হোটেল ‘বায়জিদে’ এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শিশু হত্যায় জড়িত সন্দেহে শিশুর মা ও মায়ের পরকিয়া প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে শিশু আবীর ইসলাম জিহাদের (৫) লাশ উদ্ধার করা হয়। সে নগরীর ৫ নং ওয়ার্ড পলাশপুর এলাকার মো. আল আমিন হাওলাদারের ছেলে।
শিশুকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটক মা হলেন মরিয়ম বেগম ও পরকিয়অ প্রেমিক মিলন হাওলাদার। মিলন পেশায় একজন থ্রি হুইলার চালক ও নগরীর আদম আলী হাজী গলির বাসিন্দা শফিক হাওলাদারের ছেলে।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, পলাশপুরের বাসিন্দা আল আমিনের সাথে আট বছর পূর্বে মরিয়মের বিয়ে হয়। তার পাঁচ বছর বয়সী ছেলে জিহাদ। পরকিয়া প্রেমের জেরে এক বছর পূর্বে মরিয়মকে ডিভোর্স দেয়। মা মরিয়মের সাথে থাকতো সন্তান জিহাদ।
গত ২১ এপ্রিল পরকিয়া প্রেমিক মিলনকে আদালতে গিয়ে মরিয়ম বিয়ে করে। সন্তানকে নিয়ে মরিয়ম ও মিলন পাঁচদিন পূর্বে নগরীর বান্দ রোড বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিপরীতে আবাসিক হোটেল বায়জিদের একটি কক্ষে উঠে।
মরিয়মের বরাতে ওসি বলেন, সকালে জিহাদকে নিজের পাশে ভেজা অবস্থায় মাথা, হাত ও পিঠে আঘাত অবস্থায় পেয়েছে। দ্রুত তাকে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার কিছু সময় পর চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। পরে শিশুর লাশ নগরীর রুপাতলী ভাসানী সড়কে মরিয়মের ভাইয়ের বাসায় নেয়।
ওসি বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শিশুর মৃত্যুর রহস্য উদ্ধারের জন্য শিশুর মা ও পরকিয়া প্রেমিককে হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
ধারনা করা হচ্ছে, মা ও পরকিয়া প্রেমিক মিলেই এই নিষ্পাপ শিশু জিহাদকে হত্যা করেছে।
আজকের পরিবর্তনকে ওসি আনোয়ার হোসেন আরো জানান, শিশু জিহাদ কিভাবে আঘাত পেয়েছে ও প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফজলুল করিম বলেন, শিশুটির শরীরে আঘাত রয়েছে। এটা হত্যাকান্ড। ঘটনার রহস্য উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
শিশুর নানা-নানী ও মামার অভিযোগ পরকিয়া প্রেম, নিজেরা ভালো থাকার জন্য হত্যা করেছে। এ ঘটনায় মরিয়ম ও মিলন জড়িত।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, আবাসিক হোটেল বায়জিদে নানা অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে পরিচিত। এখানে নানা অপরাধে জড়িতরা এসে উঠে। তারা নির্বিঘেœ নানা অপকর্ম করে। অনৈতিক কর্মকান্ড ছাড়াও মাদক ও জুয়ার আসর হয় এ হোটেলের বিভিন্ন কক্ষে। এই হোটেলটি ভাড়া নিয়ে বাকেরগঞ্জের বোয়ালিয়ার হারুন। তার বিরুদ্ধে শেবাচিমের গজ, ব্যান্ডিজ, ঔষধসহ অপারেশন থিয়েটারের বিভিন্ন সামগ্রী আয়া-বুয়াদের মাধ্যমে পাচার করে। তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারী, মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগের পাহাড় রয়েছে।