4:43 pm , April 20, 2023
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলের ঈদের কেনাকাটা। তবে এবার ঘরমুখো মানুষের ¯্রােত অনেকটাই কম। নৌপথে ভীড় না থাকলেও সড়ক পথে স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশী যান চলাচল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বরিশাল মহানগরীর দুটি বাস টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের সমাগম যথেষ্ট বেশী।
আকাশ পথে ঢাকা থেকে প্রতিদিন সরকারী-বেসরকারী ৩টি ফ্লাইট যাত্রী বোঝাই করে বরিশাল বিমান বন্দরে অবতরণ করছে।
ঈদ উল ফিতর দরজায় কড়া নাড়ার পূর্বক্ষনে বরিশাল মহানগরীর প্রতিটি বিপণী বিতানে ক্রেতা সমাগমে ব্যবসায়ীদের মুখি কিছুটা হাসি ফুটেছে। রমজানের শুরু থেকেই তৈরী পোষাক, প্রসাধনী ও থান কাপড়ের দোকানীরা বিপুল পসরা সাজিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু ২৫ রমজান পর্যন্তই বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিলোনা। ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে কিছুটা হতাশা কাজ করছিলো। তবে শেষ সময়ে এসে ঈদের বাজারে দুঃশ্চিন্তা কিছুটা কেটেছে।
বরিশাল মহানগরীর চকবাজার, গীর্জা মহল্লা, সদর রোড, ফজলুল হক এভিনিউ ও পুলিশ লাইন্স সড়ক সহ নগরীর বানিজ্যিক এলাকাগুলোতে শেষ সময়ে ক্রেতাদের ভীড়ে খুশি ব্যবসায়ীরা। বুধবার মধ্যরাতের পরেও বরিশালের চক বাজার সহ প্রায় সব বানিজ্যিক এলাকার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের পদচারনা ছিলো। তবে ব্যবসায়ীদের মতে, সাধারন মানুষের হাতে নগদ টাকার ঘাটতি থাকায় বেশীরভাগ ক্রেতাই খুব বেশী দরদাম করার পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত কম দামের তৈরী পোষাক খুঁজছেন।
অপরদিকে মসলা সহ মুরগী ও গরু-খাশির গোশতের বাজার বেশ চড়া থাকায় এবার সেখানেও বিক্রী কম বলে জানা গেছে। বরিশাল নগরীর বড় বাজার, নতুন বাজার, বটতলা বাজার ও নবগ্রাম রোডÑচৌমাথা বাজারসহ প্রতিটি বাজারেই ব্রয়লার, সোনালী, ও কর্ক মুরগীর প্রচুর আমদানী থাকলেও ক্রেতারা কিনছেন অনেক হিসেব করে। গত বছর যে ক্রেতা ৫ কেজি গরুর গোশত কিনেছেন, এবার সেখানে দুই কেজিও কিনছেন না বলে বিক্রেতাদের দাবী। মুরগীর ক্ষেত্রেও একই বক্তব্য বিক্রেতাদের।
আঁতর, সুরমা এবং নানা রঙ ও বাহারী টুপির বিক্রী আগের তুলনায় কিছুটা বাড়লেও ক্রেতারা কিনছেন খুব হিসেব করে।