থামছে না জাটকা শিকার-পাঁচার নিরাপদ রুট তালতলী বাজার থামছে না জাটকা শিকার-পাঁচার নিরাপদ রুট তালতলী বাজার - ajkerparibartan.com
থামছে না জাটকা শিকার-পাঁচার নিরাপদ রুট তালতলী বাজার

3:54 pm , April 13, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ ও সদর উপজেলার অবৈধ জেলে ও জাটকার ব্যবসায়ী-পাচারকারীদের দৌরাত্ম কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছে। মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, থানা পুলিশ , কোষ্টগার্ড ও নৌ-পুলিশদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে চলছে জাটকা শিকার ও পাচার। এর প্রধান রুট সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের তালতলী বাজার ও আশে-পাশের এলাকা। মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমসহ হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার আশে-পাশের নদী থেকে প্রতিদিন শত মন জাটকা শিকার করে জেলেরা। প্রশাসনের মদদে ও স্থানীয়র ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ছত্রছায়ায় এসব জাটকা প্রকাশ্যে শিকার ও ক্রয় বিক্রয় হয়। এসব জাটকা ক্রয়-বিক্রয়সহ পাচারের মুল দায়িত্বে থাকেন মেহেন্দিগঞ্জের আলমগীর। বরিশাল হয়ে ঢাকা-ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্নস্থানে পাঁচার করে তালতলী বাজারের শাকিল ও কালু। প্রতিদিন রাত ১০ টার পর ও ভোর রাত ৪ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত তালতলী বাজার হয়ে ৪০ থেকে ৫০ ড্রাম জাটকা পাঁচার হয়। মহানগর পুলিশের কাউনিয়া থানায় মাসে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে কোন বাঁধা ছাড়াই অবাধে পাঁচার হয়। এ জাটকা পরিবহনে তালতলী বাজার এলাকার চিহিৃত কয়েকজন অটোরিক্সা চালক রয়েছে। এছাড়াও বড় চালান হলে কাভার্ড ভ্যান ব্যবহার করা হয়। প্রতি ড্রাম জাটকা পাঁচারে তালতলী বাজারের ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও একটি অংশ দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, আলমগীর-শাকিল ও কালুর নেতৃত্বে জাটকা পাচার চক্রের সদস্যরা প্রতিটি ড্রামের উপরে কিছু পোমা মাছ রেখে নিচে জাটকা ভর্তি করে। এভাবে তাদের নেতৃত্বে গড়ে উঠা চক্রের কারনে অভয়াশ্রম, জাটকা শিকার নিষেধাজ্ঞাসহ সরকারের কোন প্রকল্প সফল হয় না। তাদের সিন্ডিকেট এতই শক্তিশালী, যত নিষিদ্ধ সময় থাকুক না কেন, জাটকাসহ মা ইলিশ শিকার, পাঁচার তাদের নেতৃত্বে হয়। কেউ তাদের প্রতিরোধ করা কিংবা বন্ধ করতে পারে না। তাদের প্রত্যক্ষ মদদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস, সদর উপজেলার সঞ্জিব সন্যামত ও রনির। অভিযোগ রয়েছে , প্রতি বছর জাটকা ও মা ইলিশ পাঁচার করে বিপুল অংকের উৎকোচ নেয় তারা। শাকিল ও কালুর কাছ থেকে টাকা লেনদেনর দায়িত্বে থাকে রনি। প্রভাবশালী মাছ ব্যবসায়ীর পরিচয়ে পুলিশসহ নানা মহলকে গুছ করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কালু ও শাকিল।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT