3:38 pm , April 7, 2023

মুফতি মাও. ডা. এম এ ছালাম ॥ হে মুমিনগণ! রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- জান্নাতের মধ্যে ৮টি দরজা রয়েছে। এই দরজাগুলোর মধ্যে একটি দরজার নাম রাইয়্যান। এই রমজান নামক দরজা দিয়ে একমাত্র রোজাদার ব্যক্তিগণ ব্যতিত আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না (বুখারী ও মুসলিম)। রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেন- বান্দারা যদি রমজানের মাহাত্ম্য জানতো তাহলে তারা সারা বছরটাই রমজানের রোজা হবার আকাংখা করতো (ইবনে খুজাইম)। অন্যত্র রাসুল (সাঃ) বদ দোয়া দিয়ে বলেছেন- সেই ব্যক্তির নাক মাটিতে মিশে যাক (ধ্বংস হোক) যে রমজান পেল অথচ নিজেকে ক্ষমা করে নিতে পারলো না (তিরমিযী)। আল্লাহ তাআলা বলেন, সিয়াম (রোজা) এটা আমার জন্য এবং আমি স্বয়ং এর পুরস্কার প্রদান করব যে আমার জন্য স্ত্রী সম্ভোগের বাসনা ও আহারাদি পরিত্যাগ করে। সিয়াম পালনকারী ২টি সন্তুষ্টি লাভ করবে। সন্ধ্যাকালে ইফতারের সময় আর পরকালে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত লাভের সময়। রমজান মাসে বহুমুখী মহত্ত্বের কারণে রমজানের দুই মাস আগে যখন রজব মাসের চাঁদ উঠত তখন রাসুল (সাঃ) আবেগ ভরে এই দোয়া করতেন- “আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি রাজাবা ওয়া শা বানা অ বাল্লিগনা রমজান।” হে আল্লাহ রজব ও শাবান মাসে আমাদের জন্য বরকত দিও এবং রমজানে আমাদেরকে পৌঁছে দিও। রমজানে নফল ইবাদত করা ঈমানের অঙ্গ। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত- হুজুর (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানে ঈমান সহকারে সওয়াবের নিয়তে ইবাদাত করে তাহার পূর্বে কৃত ছগীরাগুনাহ মার্জিত হইয়া যায়। তাই আসুন, মাহে রমজানের মাগফিরাতের এই মধ্যের দশকে বেশি বেশি করে নেক আমল করে অতীতের গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ জানাই। হে আল্লাহ আমাদের অতীতের সব গুনাহ সমূহ মাফ করিয়া দেন। আমীন। ছুম্মা আমীন। (চলবে)