3:44 pm , March 31, 2023
মুফতি মাওঃ ডাঃ এম এ ছালাম ॥ হে মুমিনগণ, রোজা রেখেও যদি কেউ কু-কথা, কু-কর্ম, বাজে কথা, বাজে কাজ অন্যায় অবিচারে লিপ্ত হয় তবে তার রোজা সাধনা ব্যর্থ এবং উদ্দেশ্য হয় বিনষ্ট। এজন্যে প্রিয় নবী করিম (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি রোজা রেখেও মিথ্যা কথা ও অন্যান্য পাপাচার থেকে বিরত থাকে না তার পানাহার পরিত্যাগে এমন রোজা আল্লাহ পাকের কোনও প্রয়োজন নেই। এমনি রোজা দ্বারা কর্তব্যের দায় থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায় সত্য তবে এর সত্যিকার সওয়াব লাভের আশা সুদূর পরাহত। এই হাদিস সংকলিত হয়েছে বুখারী শরীফে।
আর এক হাদিসে প্রিয় নবী (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, রোজা ঢাল স্বরূপ, অর্থাৎ রোজা হল মানুষের জন্য ঢাল স্বরূপ। অন্যায় অসুন্দর কাজ থেকে আত্মরক্ষার জন্য দোজখের শাস্তি থেকে মুক্তি লাভের জন্যে রোজা হলো ঢাল স্বরূপ, যে ভাবে মানুষ ঢাল দ্বারা আত্মরক্ষা করে থাকে, তেমনিভাবে রোজা দ্বারা দুর্বৃত্ত শয়তানের আক্রমণ থেকেও আত্মরক্ষা করা যায়। তাই কল্যাণকামী মানুষের জন্যে রোজা হল ঢাল স্বরূপ। তবে তার জন্য শর্ত রয়েছে। প্রিয়নবী (সাঃ) এরশাদ করেছেন, যতক্ষণ না সেই ঢাল কেউ বিনষ্ট করে ফেলে। অন্য একটি বর্ণনায় রয়েছে প্রিয় নবী (সাঃ) সমীপে সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করেছেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) রোজা কিভাবে বিনষ্ট হয়? তিনি ইরশাদ করেন, মিথ্যা এবং পরনিন্দা দ্বারা রোজার ঢাল বিনষ্ট হয় তথা এর মর্যাদা ক্ষুণœ হয়। অতএব রোজার হিফাজত করতে হবে, মিথ্যা কথা , পরনিন্দা প্রভৃতি পাপাচার থেকে দূরে থেকে এমনিই ভাবে রোজা শান্তি, মুক্তি ও কল্যাণ সমূহের কারণ হবে। বস্তুত রমজানের রোজা হলো গুনাহ মাফ করার, আত্মশুদ্ধি লাভে দেহ ও মনের পবিত্রতা অর্জনে সবার উপরে আল্লাহ পাকের নৈকট্য ও সান্নিধ্য লাভের এক অতি বাস্তব ও কার্যকর পন্থা। পরকালীন চিরস্থায়ী জিন্দেগীর চরম সাফল্য লাভের এটি সুবর্ণ সুযোগ। কেননা প্রিয় নবী (সাঃ) এরশাদ করেছেন, রমজানের প্রত্যেক দিন ও রাতে দোজখের বন্দীদের মুক্তি প্রদান করা হয় আর প্রত্যেক মুসলমানের একটি দুআ অবশ্যই আল্লাহ পাকের দরবারে কবুল হয়। (চলবে)